শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোটের কাছে মহারাষ্ট্রে আগেই ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। এবার আরএসএসের সদর দফতর নাগপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনেও পরাজিত হল বিজেপি।
শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস এই ভোটে আলাদা আলাদাভাবে লড়লেও মহারাষ্ট্র জুড়ে তারা ভালো ফল করেছে। কিন্তু খোদ সঙ্ঘের সদর দফতর তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের গড় বলে পরিচিত নাগপুরে বিজেপির হার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নাগপুর জেলা পরিষদের ৫৮ টি আসনের মধ্যে ৩০ টিতেই জয়লাভ করছে কংগ্রেস। এনসিপি পেয়েছে ১১ টি এবং শিবসেনা পেয়েছে একটি আসন। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট মিলে মোট ৪২ টি আসন লাভ করেছে। বিজেপিকে খুশি থাকতে হয়েছে মাত্র ১৫ টি আসন নিয়ে। খোদ আরএসএসের সদর দফতর যেখানে, সেই নাগপুরে বিজেপির হার নিয়ে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস। দলের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিজয়ী প্রার্থী ও ভোটারদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত হারের প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ, গেরুয়া শিবিরের উপর মানুষ যে আর আস্থাশীল নয় তা নাগপুরে হার থেকেই পরিষ্কার। এনসিপির শীর্ষ নেতা জয়ন্ত পাতিল বলেন, নাগপুরে হার দিয়ে বিজেপির শেষের শুরু।
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির হেভিওয়েট নেতা নীতিন গডকরির গ্রাম ধাপেওয়াড়েতেও কংগ্রেসের মহেন্দ্র ডোংরির কাছে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী মারুতি সমকুভার।
এছাড়া ওয়াশিমে ৫২ টির মধ্যে এনসিপি পেয়েছে ১২ টি আসন, বিজেপি সাতটি। পালঘরে ৫৭ টির মধ্যে ১৮ টি আসন পেয়ে জেলা পরিষদ দখল করেছে শিবসেনা। সেখানে এনসিপি পেয়েছে ১৫ টি এবং ১০ টি বিজেপি। অবশ্য ধুলেতে বিজেপি বেশ বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। সেখানে ৫৬ টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৩৯ টি।
মহারাষ্ট্রের ছয়টি জেলা পরিষদের ৩৩২ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১০৩ টি, কংগ্রেস ৭৩, এনসিপি ৪৬, শিবসেনা ৪৯, ভিবিএ ৪২ এবং নির্দল ও অন্যান্যরা জিতেছে ১৪ টি আসনে।
Comments are closed.