শুক্রবার সন্ধ্যার সেই বীভৎস রাত এখনও চোখের সামনে ভাসছে। দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন অভিশপ্ত করমণ্ডলের চালক জে এন মোহান্তি। তাঁর বাঁ পায়ে চিড় ধরছে, তবে জ্ঞান রয়েছে। ওড়িশার এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, করমণ্ডলের চলাক শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিক ভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন। অবসাদে ভুগছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাঁকে এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, করমণ্ডলের সহকারী চালক এইচ বেহারার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তাঁকে আইসিইউতে রাখা রয়েছে। দুর্ঘটনার পর দু’জনকেই ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এখনও তাঁদের সেখানেই রাখা হয়েছে।
এদিকে আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বালেশ্বর। দুর্ঘটনার ৫১ ঘন্টা পর অভিশপ্ত ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ট্রেনের চাকা গড়িয়েছে। রবিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বালেশ্বরের রেলপথে ডাউন লাইন দিয়ে প্রথম একটি মালগাড়ি চালানো হয়। পরে রাত ১২টা ৫ মিনিটে আপ লাইন দিয়ে চালানো হয় আরও একটি ট্রেন। বর্তমানে খুব ধীর গতিতে ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এদিকে পুরো দুর্ঘটনার নেপথ্যে কারণ খোঁজার জন্য সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
Comments are closed.