গত বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের কালাবুরাগির বাসিন্দা ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। তিনিই দেশে করোনার প্রথম বলি। তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন যিনি, সেই ৬৩ বছরের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কালাবুরাগিতে ওই বৃদ্ধের প্রথম চিকিৎসা করেছিলেন ওই ডাক্তার। পরে বৃদ্ধকে হায়দরাবাদে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ১১ মার্চ তিনি মারা যান।
কর্ণাটকে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের রক্ত, থুতু ইত্যাদির নমুনা রবিবার বেঙ্গালুরুর ভাইরোলজি ল্যাবে পাঠানো হয়। এরপর কালাবুরাগির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) শরথ বি এই বিষয়টি জানান। যদিও চিকিৎসকের করোনা আক্রান্তের ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্রের খবর, ওই চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট ইএসআই হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও কেন তাঁকে আগে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই চিকিৎসকের মেয়ের দেহেও গত ১৫ মার্চ করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তাও তাঁদের গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, করোনাভাইরাসে মৃত প্রথম ভারতীয়র চিকিৎসা করা ৬৩ বছরের ডাক্তারকে সোমবার হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কেন তাঁকে আগে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়নি, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে ডেপুটি কমিশনার জানান, চিকিৎসকের শরীরে আগে করোনাভাইরাসের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। কোনও লক্ষণ যদি না-ই থাকে, তা হলে কেন তাঁর রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছি্ তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।
বর্তমানে কর্ণাটকে ১০ জন করোনাভাইরাসের শিকার হয়েছে। কালাবুরাগির ৩৫০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই চিকিৎসক-সহ কর্ণাটকে মোট ন’জন আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার ভারতে করোনাভাইরাসের হানায় তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্য হল। এক ৬৪ বছরের বৃদ্ধ মুম্বইয়ের কস্তুরবা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। ওই ব্যক্তিও কিছুদিন আগে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩০ এ পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর।
মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৩৯ জন।
Comments are closed.