করোনাভাইরাস মহামারি এবং তা রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউনে অভূতপূর্ব ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। এবার সেই ঢেউয়ের আঁচ এসে পড়ল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে। সম্প্রতি একটি মেমোতে গুগলের পেরেন্ট সংস্থা অ্যালফাবেট সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, বছরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য সংস্থা নিয়োগের ব্যাপারে আরও ধীরে পদক্ষেপ নেবে।
গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই বুধবার কর্মীদের উদ্দেশে লেখা এক ই-মেলে এই কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি কোম্পানির খরচ কমানোর অন্যান্য রাস্তার কথাও উল্লেখ করেছেন। বলেছেন যে ডেটা সেন্টার ও মেশিন সহ ব্যবসায় অপ্রয়োজনীয় বা দরকার কম এমন মার্কেটিং ও ট্র্যাভেল সংক্রান্ত বিষয়ে সংস্থার খরচ নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করবে গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট।
কোম্পানির এই সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে গুগলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে সংস্থা শুধুমাত্র কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রাখবে। উল্লেখ্য ২০১৯-এ অ্যালফাবেটের পূর্ণ সময়ের কর্মী সংখ্যা ছিল ১,১৮,৮৯৯ জন।
এই ঘোষণায় পরিষ্কার যে মারণ করোনাভাইরাস কীভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতির ক্ষতি করেছে। যে অভিঘাত থেকে বাদ যায়নি গুগলের মতো বিশ্বমানের টেক সংস্থাও। সুত্রের খবর, বিশ্বের আর এক অন্যতম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফটও এই মুহূর্তে তাঁদের কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে।
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ছোট বড় সংস্থা কর্মীদের ছাঁটাই করছে, সেখানে গুগলের মত সংস্থায় বর্তমান কর্মীদের ভবিষ্যৎ কিছুটা হলেও সুরক্ষিত বলে মনে করেন একটি অংশ। কিন্তু লকডাউনের দুনিয়ায় বেশ কিছু আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে গুগলকে। যার অন্যতম কারণের মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন। গুগলের অন্যতম বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্র হচ্ছে ট্র্যাভেল ও রিটেল, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ।
কর্মীদের পাঠানো ইমেলে পিচাই বলেন যে এই বিশ্ব মহামারির ফলে বিশ্বের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে এবং গুগল ও অ্যালফাবেটও তার ব্যাতিক্রম নয় কারণ সব ব্যবসাই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।
২০০৯-এর আর্থিক মন্দার সময়ে বেশ কিছু কর্মী ছাঁটাই করেছিল গুগল, কিন্তু ইদানিং বেশ কয়েক বছর ধরে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করেছে এই সংস্থা। মার্চ থেকেই সংস্থার কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেনি গুগল।
Comments are closed.