Corona: রাজ্যে স্ক্রিনিং টেস্ট ৬ লক্ষ মানুষের, হোম কোয়ারেন্টিনে ২৭ হাজার, জানাল স্বাস্থ্য দফতর

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্র ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশে ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গেও লকডাউনের মেয়াদও স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত, বিদেশ থেকে আসা কতজনের স্ক্রিনিং হয়েছে, কতজন গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন, কতজন কোয়ারেন্টিনে আছেন, কতজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তার বিস্তারিত খতিয়ান দিল স্বাস্থ্য দফতর।

 

বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের উপর পর্যবেক্ষণ

রাজ্য সরকার জানাচ্ছে, গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO) কোভিড-১৯ কে প্যান্ডেমিক ঘোষণার প্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে মোট ৮১ হাজার ৯৩ জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি নৌ বন্দরে ৫ হাজার ৩৪১ জন জাহাজ কর্মী, নাবিক, ক্রু-এর স্ক্রিনিং করা হয়।

রাজ্যের নেপাল ও বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন চেক পোস্টে সব মিলিয়ে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮০৮ জনের স্ক্রিনিং টেস্ট হয়।

রাজ্য সরকার জানাচ্ছে, ২৫ মার্চ পর্যন্ত করোনা প্রভাবিত দেশ থেকে আসা ২৭ হাজার ১০৭ জনকে চিহ্নিত করে নজরে রাখা হয়। তাঁদের ১৪ দিন গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার কথা বলা হয়। এর মধ্যে ১,৮০৮ জনের পর্যবেক্ষণ মেয়াদ শেষ হয়েছে।
বর্তমানে আরও ৪ হাজার ৬৭ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

 

রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এবং কতজনের নমুনা সংগ্রহ? 

রাজ্যে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১০ জন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ২১৭ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ২৫ হাজার ৭২ জন গৃহ পর্যবেক্ষণে আছেন। ২৫ মার্চের আগে পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ২৪৪ জনের রক্ত ও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে ২৩৩ জনের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। দু’ জনের রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে।

 

রাজ্যের কতগুলি হাসপাতালে আইসোলেশনের সুবিধা? 

রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৮৬ টিতে আইসোলেশনের সুবিধা রয়েছে, যাতে করোনা সন্দেহে কোনও রোগীকে আলাদাভাবে রাখা যায় এবং তাঁর চিকিৎসা করা যায়।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।

Comments are closed.