করোনার থাবায় বিশ্ব জুড়ে সংক্রমিতের সংখ্যা পেরিয়েছে ১ কোটি ১৪ লক্ষ, প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে, করোনা কি এয়ারবর্ন বা বায়ুবাহিত? মারণ ভাইরাস নিয়ে এই তত্বের ওপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতামত চাইলেন বিশ্বের কয়েকশো বিজ্ঞানী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO বলে এসেছে, করোনা মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। হাঁচি, কাশি ইত্যাদি ড্রপলেটের মাধ্যমে তা একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বহু বিজ্ঞানী ও গবেষকের দাবি, নোভেল করোনাভাইরাসে উপস্থিত ক্ষুদ্র কণা বাতাসেও ভেসে বেড়াতে পারে এবং সংক্রমিত করতে পারে মানুষকে। এই নিয়ে শনিবার কয়েকশো বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে মতামত চেয়েছেন বলে নিউইয়র্ক টাইমস সূত্রে খবর।
COVID 19 নিয়ে বারবার উঠে এসেছে নানা তত্ত্ব। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এই অতিমারি ভাইরাসকে নিয়ে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য ও মতামত। এর মধ্যে ৩২ টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে একটি খোলা চিঠিতে লিখেছেন, নোভেল করোনা হল এয়ারবর্ন ডিজিস। ড্রপলেটে উপস্থিত ক্ষুদ্র কণিকা বাতাসে ভেসে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। এ নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই ওই বিজ্ঞানীরা একটি সায়েন্স জার্নালে তাঁদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন বলে নিউইয়র্ক টাইমসের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে। ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর মত, কোনও সংক্রমিতের হাঁচির মাধ্যমে বড় ড্রপলেট ছড়িয়ে যেমন অপর ব্যক্তিকে যেমন সংক্রমিত করতে পারে তেমনই, ছোট ড্রপলেটও বাতাসে ভেসে মানুষের প্রশ্বাসের মধ্যে গিয়ে তাকে সংক্রমিত করে তুলতে পারে।
নিউইয়র্ক টাইমস সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত, এই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে না। আগে একাধিকবার করোনা এয়ারবর্ন ডিজিস কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, গত কয়েক মাস ধরে বহুবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে এসেছে, করোনা এয়ারবর্ন কিনা তা পরীক্ষা সাপেক্ষ। তবে এখনই এ ব্যাপারে কোনও প্রমাণিত তত্ত্ব হাতে পাননি তাঁরা। এদিকে ৩২ টি দেশের বিজ্ঞানীদের চিঠির প্রেক্ষিতে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Comments are closed.