করোনাভাইরাস আতঙ্ক তীব্র হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ইতিমধ্যে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০০। নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে ভারতে বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। এদিকে বিশ্বের ৩০ টি করোনাভাইরাসপ্রবণ দেশের মধ্যে অন্যতম স্থানে রয়েছে ভারত, এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিয়েছে বার্লিনের হামবোল্ড ইউনিভার্সিটি। তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, করোনাভাইরাসপ্রবণ দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১৭ তম স্থানে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের হাওয়ার গতিবেগ সংক্রান্ত তথ্য, কোন কোন জায়গায় এই অসুখের প্রবণতা রয়েছে, এ রকম বেশ কয়েকটি তথ্যের উপর ভিত্তি করে সমীক্ষা করা হয়েছে। তাছাড়া চিন থেকে বিভিন্ন পর্যটক যে দেশগুলিতে সবচেয়ে বেশি যান, সেখানকার বিমানবন্দরগুলিতে এই ভাইরাসের আমদানির আশঙ্কা প্রবল। সেটাও এই সমীক্ষার আর একটি ভিত্তি। যে ৩০ টি দেশে চিনের মানুষ সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করেন, স্বাভাবিকভাবে এই মারণ ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা সেগুলিতেই বেশি। সমীক্ষা বলছে, শতাংশের বিচারে যে দেশগুলিতে চিনারা বেশি যান, তার মধ্যে অন্যতম হল ভারত। এই ‘রিলেটিভ ইমপোর্ট রিস্ক’ অনুসারে ভারত রয়েছে ১৭ তম স্থানে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের হাওয়ার গতিবেগ সংক্রান্ত তথ্য, কোন কোন জায়গায় এই অসুখের প্রবণতা রয়েছে, এ রকম বেশ কয়েকটি তথ্যের উপর ভিত্তি করে সমীক্ষা করা হয়েছে। তাছাড়া চিন থেকে বিভিন্ন পর্যটক যে দেশগুলিতে সবচেয়ে বেশি যান, সেখানকার বিমানবন্দরগুলিতে এই ভাইরাসের আমদানির আশঙ্কা প্রবল। সেটাও এই সমীক্ষার আর একটি ভিত্তি। যে ৩০ টি দেশে চিনের মানুষ সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করেন, স্বাভাবিকভাবে এই মারণ ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা সেগুলিতেই বেশি। সমীক্ষা বলছে, শতাংশের বিচারে যে দেশগুলিতে চিনারা বেশি যান, তার মধ্যে অন্যতম হল ভারত। এই ‘রিলেটিভ ইমপোর্ট রিস্ক’ অনুসারে ভারত রয়েছে ১৭ তম স্থানে।
কোন কোন দেশ করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্ক সবচেয়ে বেশি:
Related Posts
বার্লিনের হামবোল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা বলছে, বিমানবন্দরগুলিতে ‘রিলেটিভ ইমপোর্ট রিস্ক’ সবচেয়ে বিশি চিনে। সেখানকার ৮৫ শতাংশ বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে, বাকি ১৫ শতাংশ ছড়াতে পারে বাকি বিশ্বে।
বহির্দেশের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রবণতায় প্রথমেই রয়েছে থাইল্যান্ড। সেখানকার বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি ২.১৭৯ শতাংশ। থাইলান্ডের পরে করোনাভাইরাসপ্রবণ দেশ হিসেবে উঠে আসছে জাপান (ঝুঁকি ১.৭১৫ শতাংশ)। তারপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া (ঝুঁকি ১.১০১ শতাংশ), হংকং (০.৯৮০ শতাংশ)।
বহির্দেশের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রবণতায় প্রথমেই রয়েছে থাইল্যান্ড। সেখানকার বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি ২.১৭৯ শতাংশ। থাইলান্ডের পরে করোনাভাইরাসপ্রবণ দেশ হিসেবে উঠে আসছে জাপান (ঝুঁকি ১.৭১৫ শতাংশ)। তারপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া (ঝুঁকি ১.১০১ শতাংশ), হংকং (০.৯৮০ শতাংশ)।
ভারত নিয়ে কী বলছে এই রিপোর্ট:
রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকির তালিকায় ভারত রয়েছে ১৭ তম স্থানে। ভারতের ‘রিলেটিভ ইমপোর্ট রিস্ক’ হল ০.২১৯ শতাংশ। ভারতের বিমানবন্দরগুলির মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপ্রবণ হল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তারপর রয়েছে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঠিক এরপরেই রয়েছে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কলকাতা বিমানবন্দরের পর যথাক্রমে রয়েছে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তবে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে যে দশটি দেশকে করোনাভাইরাসপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে ভারত নেই। পাশাপাশি চিন ছাড়া যে ৪০ টি বিমানবন্দরকে করোনাভাইরাসের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছে সেখানেও ভারতের কোনও বিমানবন্দর নেই।
তবে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে যে দশটি দেশকে করোনাভাইরাসপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে ভারত নেই। পাশাপাশি চিন ছাড়া যে ৪০ টি বিমানবন্দরকে করোনাভাইরাসের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছে সেখানেও ভারতের কোনও বিমানবন্দর নেই।
করোনাভাইরাস প্রকোপ নিয়ে প্রতিবেদন রচনাকারী চিনা সাংবাদিক নিখোঁজ:
যে দুই চিনা সংবাদিক চেন কিউশি ও ফাং বিন তাঁদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্রমাগত চিনের করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন নিখোঁজ বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। দুই সাংবাদিকের প্রচুর প্রতিবেদন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই চেন কিউশির আর কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
চিনে করোনাভাইরাস একরকম মহামারির আকার নেওয়ার জন্য ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উইচ্যাট, উইবো ইত্যাদি চিনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটকে নজরে রাখছে চিন। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ ছবি যাতে বহির্বিশ্বে না ছড়িয়ে পড়ে, তাই চিনা সরকারের এই পদক্ষেপ বলে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
চিনে করোনাভাইরাস একরকম মহামারির আকার নেওয়ার জন্য ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উইচ্যাট, উইবো ইত্যাদি চিনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটকে নজরে রাখছে চিন। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ ছবি যাতে বহির্বিশ্বে না ছড়িয়ে পড়ে, তাই চিনা সরকারের এই পদক্ষেপ বলে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
Comments are closed.