লকডাউনে দেশের ধনীদের ৩৫% সম্পদ বৃদ্ধি! কাজ হারিয়েছেন লক্ষ-লক্ষ মানুষও, জানাল অক্সফাম
প্রতি ঘন্টায় কাজ হারিয়েছেন ১.৭ লক্ষ মানুষ
লকডাউন চলাকালীন দেশের ধনী ব্যক্তিরা আরও ৩৫ শতাংশ বেশি সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন। অন্যদিকে, করোনা লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন দেশের কয়েক লক্ষ মানুষ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম।
এই সংস্থা জানিয়েছে যে, করোনা মহামারি একদিকে যেমন ভারতের ধনী ব্যক্তিদের অতি ধনী করে তুলেছে, পাশাপাশি কয়েক লক্ষ মানুষের কাজ চলে গেছে এই অতিমারি কালে। আরও বিষ্ময়কর তথ্য হল যে, প্রতি ঘন্টায় কাজ হারিয়েছেন ১.৭ লক্ষ মানুষ।
সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এই রিপোর্ট পেশ করে আরও বলা হয়েছে যে, লকডাউন চলাকালীন সময়ে ভারতের কোটিপতিদের সম্পদ আনুমানিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ৮৪ শতাংশ পরিবারকে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
লকডাউনে বাড়িতে বসে কাজ করেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইন্টারনেট আর মোবাইল ফোন ছিল কাজের একমাত্র সঙ্গী। আর এতেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। যা একজন সাধারণ মানুষের আয় করতে সময় লাগবে বেশ কয়েক বছর। অগাস্ট মাসে আম্বানিকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
যদিও করোনা-সঙ্কট সময়ে কাউকে ছাঁটাই না-করার আর্জি জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, বেতন ছাঁটাই না-করার কথাও। এ বিষয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। তবে প্রায় সবক’টি সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নের দাবি, লকডাউন শুরুর পর থেকেই কর্মী ছাঁটাইয়ের বিপুল সংখ্যক অভিযোগ আসছে।
এর আগে লকডাউনের মধ্যেই দেশে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। এই মর্মে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা CMIE। সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছিল যে, লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতির চাকা থমকে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের টাকা ফুরোচ্ছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত চাকরিজীবীরাও।
এবার আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাখ্যা দেওয়া হল।
Comments are closed.