ভারতে তৈরি প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। আইসিএমআরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক কোভাক্সিন নামে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিন ফেজ ওয়ান ও টুয়ের হিউম্যান ফিজিকাল ট্রায়ালের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI এর ছাড়পত্র পেয়েছে। জুলাইয়েই দেশজুড়ে শুরু ট্রায়াল।
গোটা বিশ্বের ওষুধ নির্মাতারা কোভিড ১৯ এর প্রতিষেধক আনতে দিন রাত এক করে গবেষণা করে চলেছেন। ভ্যাকসিন তৈরিতে মন দিয়েছে বিশ্বের তাবড় বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাগার। গোটা বিশ্বে ভ্যাকসিন ও অন্যান্য জেনেরিক ওষুধের অন্যতম বৃহত্তম উৎপাদক ভারতেও চলছে তেমনই একাধিক গবেষণা। বিভিন্ন ওষুধ নিয়ে চলছে পরীক্ষা। মে মাসে সরকার জানিয়েছিল দেশে অন্তত ৩০ টি গোষ্ঠী পৃথক পৃথকভাবে ভ্যাকসিনের উপর কাজ করছে। এক বছরের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই হায়দরাবাদে চলছে কোভাক্সিন নিয়ে গবেষণা। যা প্রাথমিকতার গণ্ডি পেরিয়ে হিউম্যান ট্রায়ালের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এর আগে রামদেবের পতঞ্জলি করোনা নিরাময়ের ওষুধ এনেছিল বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু দেখা যায় ওষুধের অনুমতি সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। রামদেবের করোনা নিরাময়ের ওষুধের বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আয়ুশ মন্ত্রক। প্রশ্ন ওঠে, সর্দি কাশির ওষুধের লাইসেন্স নিয়ে কীভাবে করোনা নিরাময়ের ওষুধ বিক্রি করেন রামদেব? রামদেব ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।
এই অবস্থায় সরকারিভাবে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি পেল ভারত বায়োটেক। জানা গিয়েছে, SARS-CoV-2 ভাইরাসের একটি স্ট্রেন থেকে ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়েছে। গবেষকদের দাবি, প্রাথমিকভাবে প্রিক্লিনিকাল স্টাডিজে নিরাপত্তা ও প্রতিষেধক হিসেবে ভালো সাড়া মিলেছে। এরপর হিউম্যান ট্রায়ালে বাকিটা স্পষ্ট হবে।
Comments are closed.