বাংলায় ৮ দফার ভোট শেষ হওয়ার পথে। এরমধ্যেই দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কোভিড ব্যবস্থাপনায় মোদী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে দেশে তোলপাড়। এই পরিস্থিতিতে কী অবস্থা বাংলার?
সরকারের দেওয়া করোনা পরিসংখ্যান বলছে, ৮ দফার প্রথম দফা অর্থাৎ ২৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে অ্যাক্টিভ করোনা কেস ছিল ৪,৬০৮। ঠিক ১ মাস পর ২৬ এপ্রিল সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৪,৯৪৯। অর্থাৎ মাত্র ১ মাসে বাংলায় সামগ্রিক ভাবে করোনা অ্যাক্টিভ কেস বেড়েছে ২০৬০%।
এবার দেখে নিন রাজ্যের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট জেলা গুলোর অবস্থা।
কলকাতা
প্রথম দফার ভোটে ২৭ মার্চ এই জেলায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ছিল ১,৯১৯। কিন্তু সেদিন কলকাতায় ভোট ছিল না।
চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল কলকাতা ও তার আশেপাশে ভোট হয়। সেইদিন কলকাতার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৭,৫৫০।
১৭ এপ্রিল ভোট ছিল কামারহাটি, বরানগর, দমদম, রাজারহাট, সল্টলেকে। সেদিন কলকাতার অ্যাকটিভ কেস ছিল ১৩,৭৭৩।
২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় ভোট ছিল বালিগঞ্জ, ভবানীপুর, বন্দর, রাসবিহারী কেন্দ্রে। ভোটের দিন কলকাতায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ছিল ২২,৮৪৯।
ভোটের প্রথম দফা থেকে সপ্তম দফা, এই ১ মাসের মধ্যে কী অবস্থা কলকাতার? পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতায় অ্যাকটিভ কেস ১,১৯০% বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিল ভোট চৌরঙ্গী, এন্টালি, বেলেঘাটা, শ্যামপুকুর, কাশিপুর-বেলগাছিয়া, জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে।
উত্তর ২৪ পরগনা
এই জেলায় পঞ্চম আর ষষ্ঠ দফায় ভোট ছিল। প্রথম দফার ভোটের দিন জেলায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ছিল ১,০৬৬ জন। ভোটের পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮,৫০৫ জন। অর্থাৎ এই ১ মাসে অ্যাকটিভ রোগী বেড়েছে ১৭৩৫%।
হাওড়া
তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় ভোট ছিল হাওড়া জেলায়। এখানে প্রথম দফার ভোটের দিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭২ জন। যা ১ মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ৫,৪৮২ জন। অর্থাৎ এই ১ মাসে অ্যাকটিভ রোগী বেড়েছে ১,৪৭৩%।
বীরভূম
এই জেলায় ভোট হবে অষ্টম দফায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখানে ভোট শুরু হওয়ার পর এখানে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫০ জন। কিন্তু ১ মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪,৬২৯ জন। ১ মাসে সংক্রমিত রোগী বেড়েছে ৩,০৮৬%।
পশ্চিম বর্ধমান
এই জেলায় ভোট ছিল সপ্তম দফায়। ভোটের ১ মাস আগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৬০ জন। ১ মাস পর অর্থাৎ ভোট শেষ হলে দেখা যায় তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২,০৫৮%।
মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি পর্যবেক্ষণে যা বলেছেন তারপর পরিস্থিতির বদল হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু যে রাজ্যে ১ মাসের ব্যবধানে অ্যাকটিভ কেসের বৃদ্ধি ২ হাজার শতাংশের বেশি, সেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে কী করে? উত্তর নেই কারও কাছেই।
Comments are closed.