বিশ্বে যে কটি করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকরী ফলাফলের কথা শোনা গিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম দুটি, ফাইজার ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। দুটি ভ্যাকসিনই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখিয়েছে। তবে দামের দিক থেকে আমূল পার্থক্য রয়েছে দুই ভ্যাকসিনের। ভারতে কেমন দাম হতে পারে এই দুই ভ্যাকসিনের?
ইতিমধ্যেই ফাইজার ভ্যাকসিনের ব্যবহারে ছাড় দিয়েছে ব্রিটেন। ফাইজার-বায়োএনটেক এসই করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ৯৫ শতাংশ সাফল্য মেলার পর ব্রিটেনে গণ টিকাকরণ হচ্ছে। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের দাম অনেকটাই বেশি। সূত্রের খবর, যে সরকার ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফাইজারের আগাম চুক্তি ছিল আগে তাদের ভ্যাকসিন সাপ্লাই করবে ফাইজার। ব্রিটেনে এই ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজের দাম পড়ছে ৩৯ ডলারের কাছাকাছি। ভারতে দাম তুলনামূলকভাবে একটু কম হবে বলে আশা করা হলেও সাধারণের পক্ষে এর ব্যয়ভার যথেষ্ট।
অন্যদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা পুনের সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) তৈরি করছে তার দুই ডোজের দাম পড়বে এক হাজার টাকা। পুনের সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী এমনই জানা গিয়েছে।
ভ্যাকসিন সংরক্ষণের দিক থেকেও ফাইজারের ভ্যাকসিন ভারতে রাখার অসুবিধে আছে। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে সংরক্ষণ করতে হয় একে। সেদিক থেকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ব্যবহার সুবিধাজনক। কারণ, সিরাম ইন্সটিটিউট জানাচ্ছে, ওই ভ্যাকসিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলেই হবে।
এই দুই ভ্যাকসিন ছাড়াও পাঁচটি ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতে গবেষণা চলছে। এই তালিকায় যেমন আছে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা, তেমনি রয়েছে ড্রাগ ফার্ম জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন। এছাড়া ডঃ রেড্ডি ল্যাবরেটরিজ ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ভারতে শুরু করতে চলেছে তারা।
Comments are closed.