স্বাধীনতা দিবসে ৩০ কোভিড যোদ্ধাকে সম্মানিত করবেন মুখ্যমন্ত্রী, মানপত্র পাবেন ডাক্তার, পুলিশ, নার্সরাও
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড রোগীদের সাহায্য করতে সামনে থেকে লড়াই করে চলেছে প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে যেমন চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ আছেন, তেমনই আছেন কোভিড ওয়ার্ডে ডিউটি করা করোনা জয়ী পরিযায়ী শ্রমিকরা। করোনার বিরুদ্ধে এই কঠিন লড়াইয়ে সামিল হওয়ায় এবার তাঁদের সম্মানিত করবেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতা দিবসে ৩০ জন করোনা যোদ্ধার হাতে মানপত্র তুলে দেবেন মমতা ব্যানার্জি। সম্মান প্রাপকদের তালিকায় আছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যবন্ধু বা সাফাইকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, ডব্লুবিসিএস অফিসার, পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার, শিক্ষক ও পরিযায়ী শ্রমিক।
১৭ মার্চ বাংলায় প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়ছে সংক্রমণ। মৃত্যু হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিপ্লব দাশগুপ্তের। মৃত্যু হয়েছে একাধিক চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মী, প্রশাসনিক আধিকারিকের। তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত করোনা যোদ্ধাদের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
শুধু তাই নয়, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত করোনা যোদ্ধাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বিমা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এছাড়া সরকারি ও সরকার অধিগৃহীত হাসপাতালে করোনা যোদ্ধারা সংক্রমিত হলে তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন ডব্লুবিডিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যে ৫০০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
স্বাধীনতা দিবসে যে ৩০ জনকে সংবর্ধিত করা হবে তার মধ্যে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরাও। করোনা জয়ী পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে ডিউটি করে চলেছেন। তাঁদের দিয়েই হাসপাতালে কাজের পরিকল্পনা শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। ইতিমধ্যে সেই কোভিড- ১৯ ওয়ারিয়ার্স ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৪৯ এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা বেলেঘাটা আইডি, এম আর বাঙ্গুর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ, রাজারহাটের সিএনসিআই প্রভৃতি জায়গায় সাহসের সঙ্গে কাজ করছেন। রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের চারজনকে মুখ্যমন্ত্রী সম্মান জানাবেন, এছাড়া থাকবেন প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের করোনা যোদ্ধারা।
Comments are closed.