মহম্মদ সেলিম: অর্ণব গোস্বামী সাংবাদিক না বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মেম্বার! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কটাক্ষ সিপিএম নেতার
২০১৮ সালের এক মামলায় বুধবার সকালে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারি ঘিরে তোলপাড় সারা দেশের রাজনৈতিক মহল। রিপাবলিক টিভির কর্ণধার ও সাংবাদিকের গ্রেফতারি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে আলোচনা। অর্ণবের পাশে দাঁড়িয়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার ও প্রশাসনকে একহাত নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা। তখনই অমিত শাহ, প্রকাশ জাভড়েকরদের তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। চাঁচাছোলা ভাষায় ট্যুইটারে তিনি লেখেন, অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারিতে যেভাবে অমিত শাহ, এস জয়শঙ্কর, স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, দেবেন্দ্র ফড়নবিস, প্রকাশ জাভড়েকর, আর এস প্রসাদ এবং জেপি নাড্ডারা বিচলিত হয়ে পড়েছেন, তাতে আমিও বিভ্রান্ত হয়ে ভাবছি অর্ণব সাংবাদিক ছিলেন, নাকি বিজেপির ন্যাশনাল একজিকিউটিভ মেম্বার!
বুধবার সকালে অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের প্রতিক্রিয়া ছিল, ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্যবহার করছে মহারাষ্ট্র সরকার। শাহ থেকে নাড্ডা, বিজেপির সমস্ত শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীই অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারির নিন্দা করে এমার্জেন্সি পিরিয়ডের উদাহরণ টেনেছেন। এই প্রেক্ষিতে অমিত শাহ-প্রকাশ জাভড়েকরদের খোঁচা দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারির সমালোচনায় করা প্রকাশ জাভড়েকরের ট্যুইট রিট্যুইট করে সেলিমের কটাক্ষ, গৌরি লঙ্কেশকে মনে আছে?
এ বিষয়ে অমিত শাহের ট্যুইট তুলে ধরে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লেখেন, কোথায় ছিল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা যখন, প্রশান্ত কানোজিয়া, সুপ্রিয়া শর্মাদের মতো সাংবাদিকদের হেনস্থা করছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ? অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারির পর বিজেপি নেতাদের পক্ষপাতমূলক অবস্থান তীব্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মহম্মদ সেলিম।
Comments are closed.