ক্রমে ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওড়িশা উপকূল থেকে মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ফণী। ক্ষতির আশঙ্কা মাথায় রেখে বুধবারই ওড়িশার ১০ জেলায় নির্বাচনী বিধি প্রত্যাহার করেছে কমিশন। ওড়িশার ১৯ টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আবহাওয়াবিদরা। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে ফণী। ওড়িশা উপকূলে বসবাসকারীদের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ৭৮ টি দল পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুরী থেকে পর্যটকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গেও ফণীর প্রভাব পড়তে পারে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার প্রায় ১১৫ কিলোমিটার জোরে আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনি ও রবিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, বাঁকুড়া জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ১০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বইবে ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙে পড়তে পারে কাঁচা বাড়ি, গাছপালা, বিপর্যস্ত হতে পারে ট্রেন চলাচল। ফসলের প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৈরি রয়েছে। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে নির্বাচনী কর্মসূচিতেও বদল করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ফণী মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন বৃহস্পতিবার। ফণীর কারণে শুক্রবার থেকেই রাজ্যের সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
Comments are closed.