২৪ ঘন্টার মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় টাওতে, জানেন কেন এমন নাম?
শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে
মহারাষ্ট্র, কেরল এবং গুজরাতে ঘূর্ণিঝড় ‘টাওতে’ আছড়ে পড়ার সতর্কবার্তা শুক্রবারই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। দিন গড়াতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল আরব সাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ের গতি এখন গুজরাত উপকূলের দিকে। রবিবার তা অতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে বলে পূর্বাভাস।
চলতি বছরে এটাই প্রথম ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, কেরল এবং গুজরাতে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই লাক্ষাদ্বীপ-সহ কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরলে।
শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা মৌসম ভবনের।
ঘুর্ণিঝড় টাওতের কারণে শুক্রবার কেরলের পাঁচ জেলায় রেড অ্যালার্ট এবং নয় জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ১১৭ টির বেশি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পর্যটন স্পটগুলি।
কেরলে ইতিমধ্যেই ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া চলছে। যার গতি আন্দাজ করা হচ্ছে প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।
টাওতের প্রভাবে কেরলের কাসারগোদ, কান্নুর, কোঝিকোড়, এর্নাকুলাম এবং আল্লাপুঝা জেলায় সমুদ্রের কাছাকাছি কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই এনডিআরএফের ৫৩ থেকে ১০০ টি দল তৈরি রাখা হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে টাওতে। নামকরণ করেছে মায়ানমার। সেখানকার স্থানীয় ভাষায় টাওতে শব্দের অর্থ গেকো বা গো সাপের মতো সরিসৃপ।
Comments are closed.