আদালতের নির্দেশের পরেও এফআইআর দায়ের হল না বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুরদের বিরুদ্ধে। বিতর্কিত ভাষণ দেওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে আরও সময় প্রয়োজন। দিল্লির হাইকোর্টকে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত ভাষণের জেরেই দিল্লির পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। গত ৪ দিন ধরে চলা হিংসা সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। আহত অন্তত দুশো।
বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মুরলীধরের তোপের মুখে পড়ে দিল্লি পুলিশ। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর উসকানিমূলক ভাষণের পাশাপাশি দিল্লি ভোটের প্রচার চলাকালীন অনুরাগ ঠাকুর সহ বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীদের উসকানিমূলক ভাষণ এজলাসে চালিয়ে শোনা হয়। আদালত প্রশ্ন তোলে, এই নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়নি কেন? এখানেই শেষ নয়, বিচারপতি মুরলীধর এজলাসে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেন, আরেকটি শিখ দাঙ্গার পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে দেবেন না। ১৯৮৪ সালে শুধুমাত্র দিল্লিতে শিখ দাঙ্গায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের প্রাণ যায়।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান, আদালত নির্দেশিত ৩ টি ছাড়াও আমরা আরও অনেকগুলো উসকানিমূলক ভাষণ চিহ্নিত করেছি। সবগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আগে কিছু সময় দরকার। তাড়াহুড়োয় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উভয় পক্ষের সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল ও বিচারপতি সি হরিশঙ্করের বেঞ্চ কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছে। তারমধ্যে কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে লিখিতভাবে জবাব দিতে হবে আদালতকে। ১৩ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
Comments are closed.