রাজধানী সহ দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের আবহে ফেব্রুয়ারি মাসে হতে চলেছে দিল্লি বিধানসভার ভোট (Delhi Poll)।
সোমবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ঘোষণা করেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট হবে। ভোটগণনা ১১ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই ফল ঘোষণা হয়ে যাবে।
সাংবাদিক বৈঠকে অরোরা জানান, স্বচ্ছ ভোট করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটপ্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য দিল্লির ১৩ হাজার পোলিং স্টেশনে ৯০ হাজার আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবার দিল্লির (Delhi Poll) ১ কোটি ৪৬ লক্ষ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
৭০ সদস্যের দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নয়া সরকার গঠন হয়ে যাবে। নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার সরকারে ক্ষমতায় আসার পর মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়ায় সেই রাজ্যে সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। সদ্য ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটেও হেমন্ত সোরেনের জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি জোটের কাছে হেরে আরও এক রাজ্যে ক্ষমতা খুইয়েছে গেরুয়া শিবির। ২০১৯ লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাজধানীতে এটাই প্রথম নির্বাচন।
আম আদমি পার্টি, বিজেপি ও কংগ্রেস, তিন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলই বিধানসভা ভোটকে (Delhi Poll) সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। একদিকে এনআরসি, সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন ও এনপিআরের বিরুদ্ধে আপ ও কংগ্রেসের বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন। অন্যদিকে, রাজধানীর দূষণ সহ বেশ কিছু ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে (পিকে) দলের প্রচার পরিকল্পনার জন্য নিয়ে এসেছেন কেজরিওয়াল। ‘আচ্ছে বাতে পাঁচ সাল, লাগে রহো কেজরিওয়াল’ স্লোগান বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই ট্যুইট করেন পিকে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর ‘চায়ে পে চর্চা’ ক্যাম্পেনের স্রষ্টা লেখেন, ১১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার মানুষের ক্ষমতা দেখার জন্য তৈরি হন।
২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে দিল্লির ৭০ বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৭ টিতে জয়লাভ করে ক্ষমতা দখল করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। আর কংগ্রেস খাতাই খুলতে পারেনি।
Comments are closed.