নভি মুম্বইয়ে ডিটেনশন সেন্টারের জন্য জমি চেয়ে চিঠি, অসমের পর এবার কি মহারাষ্ট্রে এনআরসি?

অসমের পর কী এবার মহারাষ্ট্র? সূত্রের খবর, অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করার জন্য জমি চেয়ে নভি মুম্বই প্ল্যানিং অথরিটিকে চিঠি দিয়েছে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতর। নগর ও শিল্পোন্নয়ন নিগম (সিডকো) সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে নেরুল এলাকায় ২ থেকে ৩ একর জমি চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাটি নভি মুম্বইয়ের একটি জনবহুল এবং বাণিজ্যিক এলাকা। মুম্বই শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে এই এলাকাতেই ডিটেনশন সেন্টার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে এমন কোনও চিঠির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। তবে চলতি বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের এক নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের যে সব জায়গা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাসস্থান বলে চিহ্নিত হবে, সেখানে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করতে হবে। মুম্বইয়ের নেরুল এলাকাটি বাণিজ্যিক কারণে একটি জনবহুল এলাকা। সেখানে ডিটেনশন সেন্টার করতে জমি চাওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কয়েক মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে এনডিএ শরিক শিবসেনা। তাদের প্রতিটি প্রচারে দাবি করা হচ্ছে, মুম্বইয়ে প্রচুর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বাস করছে। গত সপ্তাহে শিবসেনার তরফে বলা হয়েছিল, অনুপ্রবেশকারী সমস্যা রুখতে অসমের মতো মুম্বইয়েও এনআরসি জরুরি।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এনআরসি ছিল বিজেপির ইশতাহারের অন্যতম ইস্যু। গত জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় মন্তব্য করেছিলেন, দেশের মাটির প্রতিটি ইঞ্চিতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে সরকার। লোকসভা নির্বাচনের ক্যাম্পেনিংয়ের সময় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
এই প্রেক্ষিতে মে মাসেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত ৫০ লক্ষ টাকা খরচে নির্মিত ডিটেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করে ফেলেছেন। অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় ১০টি ডিনেটশন সেন্টার তৈরি করছে রাজ্য সরকার, যার জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। এই প্রেক্ষিতে সামনে এলো মুম্বইয়ে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনার কথা।

Comments are closed.