পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটন কেন্দ্র দিঘাকে ঢেলে সাজাতে নয়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবার নতুন ইংরেজি বছরের আগে দিঘার মুকুটে যুক্ত হচ্ছে নতুন পালক। প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের মতো থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেমে সেজে উঠছে দিঘা!
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের তীর দিঘা ভরে উঠবে ঝলমলে আলো ও সঙ্গীতের মূর্ছনায়। তার মায়াবি পরিবেশ ও সৌন্দর্য চাক্ষুষ করতে কোনও বাড়তি খরচ করতে হবে না পর্যটকদের। দিঘায় বসছে মিউজিক্যাল ফাউন্টেন, মাল্টিমিডিয়া শো এবং আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। পুরো প্রকল্পে সরকার খরচ করছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
বিশ্বের বহু নামী পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এই থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম বসেছে। যেমন এই প্রযুক্তির সাহায্যেই প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে সন্ধে নামলেই আলোর জাদু দেখা যায়। কিছু বছর আগে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটেও এই থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং বসানো হয়েছে। এছাড়া গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশাল মূর্তির কাছেও রয়েছে এই থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং। সেটাই চালু হচ্ছে দিঘাতেও।
কিন্তু কী এই থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং?
থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং হল একটি আধুনিক লাইটিং প্রযুক্তি। বড় স্ক্রিনের উপর যে কোনও জিনিসের থ্রি ডাইমেনশনাল অবয়ব তৈরি করা হয় এর সাহায্যে। যে কোনও বড় দেওয়ালকে জায়ান্ট স্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করে আলো-ছায়ার মিশেলে যে কোনও জিনিসকে দর্শকদের সামনে উপভোগ্য করে তোলা হয়।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অখিল গিরির কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দিঘা পর্যটন কেন্দ্রকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা হচ্ছে। দিঘা-শঙ্করপুর পর্যটন কেন্দ্রে নয়াকালী মন্দিরের কাছে এই থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম বসবে। কালী মন্দির দর্শনের পাশাপাশি পর্যটকরা এবার আলোর সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। টেন্ডার ডাকা হয়েছে, খুব শীঘ্র কাজ শুরু যাবে। গোটা প্রকল্পে আনুমানিক ৯ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান তিনি।
এই কাজ শেষ হলে দেশ-বিদেশের আরও বেশি পর্যটক দিঘায় আসতে উৎসাহিত হবেন এবং দিঘার পর্যটন শিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার।
Comments are closed.