‘আমি বলছি পেটান, ততখানিই যতটা হজম করতে পারবেন। লাল ডায়েরিতে লিখে রাখছি। সুদ সহ ফেরত দেব। বদল হবে, বদলাও হবে!’
পুলিশ এবং তৃণমূলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুঁশিয়ারি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
আর শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে আলাদা করে দিলীপের হুঁশিয়ারি, ‘মে মাসের পর সুস্থভাবে বাড়িতে থাকতে চাইলে পাল্টান। না হলে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে জমি কিনে দেব। ওখানেই থাকতে হবে। বউ-ছেলে-মেয়ের মুখ দেখতে পাবেন না।’
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপের ঘোষণা, বিধানসভা ভোটের সময় কেউ চমকালে তার নাম লিখে রাখলেই হবে। ফলপ্রকাশের পর দায়িত্ব নিয়ে গ্রামছাড়া করবেন। দিলীপবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘বুথে বুথে তৃণমূলের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এপ্রিল-মে’র ভোটে আসল ফিল্ম দেখানো হবে। এখন চলছে ট্রেলার!’
মেদিনীপুরের সভা থেকে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে নিয়ে মমতা ব্যানার্জির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে খোঁচা দিয়ে বলেন, কাকে কী বলবেন আর ঠিক করতে পারছেন না। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে দিলীপের মন্তব্য, কিছুদিনের মধ্যেই যমের দুয়ারে যাবে সরকার। বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। দিলীপ ঘোষের সভা ইদানীং হয়ে উঠেছে পুলিশকে আক্রমণের মঞ্চ। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বললেন, পুলিশ হচ্ছে ঢোঁড়া সাপ। বিষ নেই। শুধু বেছে বেছে বিজেপিকে চমকাতে আসে। ভোটের সময় বুথের ১০০ গজের ভেতর রাজ্য পুলিশকে রাখা হবে না। দূরে গাছের তলায় চেয়ার পেতে বসানো হবে তাঁদের। দিলীপের কথায়, ‘চকরাবকরা জামা, চকচকে রাইফেল নিয়ে কেন্দ্রবাহিনী বুথ সামলাবে।’ তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় এসেই বিজেপি কর্মীদের উপর করা সব ভুয়ো মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
২০১১ নাগাদ মমতা ব্যানার্জির স্লোগান ছিল বদলা নয়, বদল চাই। শুক্রবার দিলীপ ঘোষের ঘোষণা বদল হবে, বদলাও হবে। সবমিলিয়ে ভোটের আগে তেঁতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি।
Comments are closed.