বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাংসদ কোটায় রেলের গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়া হবে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এগরায় বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও আর্থিক জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে?
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এগরা-২ ব্লকের উত্তর তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা বাদল দোলইয়ের অভিযোগ, ‘এমপি কোটা’য় চাকরির নামে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ছেলেকে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে এলাকার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি রঞ্জন মহাপাত্র মোট ১২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেন বলে দাবি তাঁর। এই বাদল দোলইয়ের ছেলে আবার বিজেপিরই বুথ সভাপতি। তাছাড়া এড়েন্দাবাড় গ্রামের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির ঠিকাদার জনৈক অরবিন্দ মাইতির কাছ থেকেও দিলীপ বাবুর সাংসদ কোটায় রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেওয়া হয় বলে দাবি। সম্প্রতি চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরানোর জন্য বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে চাপ দিতে শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ এ নিয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপবাবু। ফলে চাপের মুখে রঞ্জনবাবু ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু বাকি টাকা না পাওয়ায় তাঁরা বিজেপির রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষের শরণাপন্ন হতেই প্রকাশ্যে আসে এই খবর।
দিলীপ ঘোষের সাংসদ প্রতিনিধি আশিস নন্দী জানান, এইভাবে এমপি কোটায় রেলে চাকরি হয় না। তাই অভিযোগ ওঠায় তা সাংসদকে জানান তিনি। এরপর দিলীপবাবুর নির্দেশে জেলা কমিটি রঞ্জন মহাপাত্রকে মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘এমপি কোটা’য় রেলে চাকরি দেওয়ার নামে এভাবে টাকা তোলার ঘটনায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। টাকা আদায়ের বয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
Comments are closed.