ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল রাজ্য বিজেপি। নাগরিকত্ব ইস্যুতে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর তুলছিলেন। সোমবার শান্তনুর পাশে দাঁড়িয়ে মতুয়া স্বার্থে লড়ার কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী তথা ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য মমতাবালা ঠাকুর। পরিস্থিতি ঘোরাল বুঝে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে বিজেপি।
সোমবার রাতে বাইপাসের ধারে একটি ফাইভ স্টার হোটেলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখোমুখি কথা বলেন বনগাঁর সাংসদের সঙ্গে। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে দাবি, সমস্যা মিটে গিয়েছে। যদিও ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন শান্তনু ঠাকুর।
সিএএ নিয়ে মতুয়া ক্ষোভ নিরসনে এবার নামতে হল দিলীপ ঘোষকে। সোমবার রাতে শহরের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে শান্তনু ঠাকুর হাজির হন। সেই সময় হোটেলে ছিলেন দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতারা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে দিলীপ সরাসরি শান্তনু ঠাকুরের কাছে জানতে চান তাঁর বক্তব্য। শান্তনু জানান তিনি কখনওই দল বা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করেননি। সংবাদমাধ্যম তাঁকে মিসকোট করেছে। দিলীপ ঘোষ শান্তনু ঠাকুরকে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ক’দিন আগেই তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শান্তনু ঠাকুরকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রকাশ্য আহবান জানান। রাতে মিটিং সেরে বেরিয়ে শান্তনু বলেন, তৃণমূল সিএএ এর বিরোধিতা করছে। তাই ওদের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রশ্ন নেই। তারপর বনগাঁর বিজেপি সাংসদের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ওরা আগে বলুক সিএএকে সমর্থন করবে।
সিএএ লাগুর দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই মতুয়া সমাজের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। সেই ক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে বিজেপি সাংসদের কাছে। বিগত কিছুদিন ধরেই দলীয় সভা সমিতিতে দেখা মেলেনি শান্তনুর। এভাবেই দলকে বার্তা দিতে চেষ্টা করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু বিজেপির তরফে সাড়া না মেলায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল ক্ষোভ। এই অবস্থায় বোলপুরে অমিত শাহ বলেন, করোনা শৃঙ্খল ভাঙ্গার পর সিএএ নিয়ে এগোনোর কথা ভাবা হবে। মতুয়া ক্ষোভে তাতে ঘৃতাহুতি পড়ে। রবিবার কালনার সভায় কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলেন শান্তনু ঠাকুর। তারপরই তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে রাজ্য বিজেপি। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।
Comments are closed.