পা দেখাতে হলে বারমুডা পরতে পারেন! মমতাকে নিয়ে দিলীপের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়
পুরুলিয়ার বান্দোয়ান প্রচার সভায় মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে শাড়ি ছেড়ে ‘বারমুডা’ পরার পরামর্শ দেন দিলীপ ঘোষ।
নন্দীগ্রামে প্রচার করতে গিয়ে পায়ে চোট পান মমতা ব্যানার্জি। তারপর থেকেই হুইল চেয়ারেই প্রচার সারছেন তৃণমূল নেত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাঙ্গা পা নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শুরু হয়ে গেল বিতর্ক।
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ান প্রচার সভায় মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে শাড়ি ছেড়ে ‘বারমুডা’ পরার পরামর্শ দেন দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার, হাটতলা মোড় থেকে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, প্লাস্টার কাটা হয়ে গেল। ফের ব্যান্ডেজ বাধা হয়ে গিয়েছে। আর পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছে। শাড়ি পড়ে এসে একটা পা ঢাকা, একটা খোলা। এমন শাড়ি পরতে কাউকে দেখিনি। যদি পা-টা বার করে রাখতে হয় তাহলে শাড়ি কেন বারমুডা পরতে পারেন! তাহলে পরিষ্কার দেখা যায়। কত নাটক দেখব আর!
এখানেই থামেননি দিলীপ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দিদি বলছেন আমি একজন মহিলা। আমাকে ভোট ভিক্ষা দিন। আমি বাংলার মেয়ে। বাবা! বাংলার মেয়ে, বাংলার মেয়ে করে যা দুর্দশা করেছে আর কেউ চায় না তাঁকে। এবার মেয়ের হাত থেকে মুক্তি চায় বাংলা।
এদিন মমতার একাধিক কর্মসূচি নিয়েও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে ঠাট্টা করে তিনি বলেন, আগে রাস্তায় রাস্তায় দিদিকে বলো নিয়ে বড়ো বড়ো হোডিং ঝুলিয়েছিল। এখন বলছে দিদিকে ঠেল। চারজন মিলে দিদিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের আঘাত নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করতে গিয়ে সীমানা ছাড়িয়ে গেছেন দিলীপ ঘোষ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। একজন মহিলাকে নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকেও কুরুচিকর বলে মনে করেন তাঁরা। তবে আজই প্রথম নয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিরোধীদের প্রতি কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
Comments are closed.