স্কুলের ফি দিতে পারতেন না বাবা, বন্ধ হতে বসেছিল পড়াশোনা, ভাবছেন তো কার কথা বলছি । ভাবছেন কোনো অর্থ কষ্টে ভোগা হত দরিদ্র এর । কিন্তু না এই গল্প স্বয়ং আমির খানের । ভাবছেন এও কি সম্ভব? কিন্তু হ্যাঁ এটাই সত্যি টাকার অভাবে বন্ধই হয়ে যাচ্ছিল পড়াশোনা, ছোটবেলায় চরম অর্থকষ্টে ভুগেছেন আমির খান । অতীতের স্মৃতি চরনা করে এমনটাই জানিয়েছেন আমির খান ।
বেশ কিছুদিন আগে আমির খানের বহু বিতর্কিত ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবিটি মুক্তি পায়। সেই সময় ছবির প্রচারে গিয়ে ছোটবেলার অজানা কাহিনী সকলকে শোনান আমির খান। তিনি জানান তার ছোটবেলাতে বাড়ির আর্থিক পরিস্থিতি একদমই ভাল ছিল না। টাকার অভাবে তার পড়াশোনাও ভীষণ প্রভাবিত হত। বিশেষত এই কারণেই নাকি পড়াশোনা করতে তিনি ভীষণই ভয় পেতেন।
সংবাদমাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন দীর্ঘ আট বছর তাদের পরিবার খুবই অর্থকষ্টের মধ্যে কাটিয়েছিল। সেই সময়ের কথা তিনি কখনও ভুলতেই পারবেন না। অভাবের সংসারে চার ভাই বোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার বড় । সেই সময় তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে বাবা স্কুলের বেতনটাও ঠিক সময়মত দিতে পারতেন না। এদিকে বেতন দিতে দেরি হলেই প্রিন্সিপাল সবার সামনে তার নাম ঘোষণা করতেন। এই ঘটনায় তিনি ভীষণ কষ্ট পেতেন। যে কারণে পড়াশোনা করতেও তার ভয় হত।
এই কথাগুলো বলতে গিয়ে সবার সামনে কেঁদেই ফেলেন আমির খান। এরপর কৌন বানেগা ক্রোড়পতিতে এসেও সকলের সঙ্গে ‘লাল সিং চাড্ডা’ বানানোর নেপথ্য কাহিনী শেয়ার করে নিয়েছিলেন আমির। এই ছবিটি ছিল তার ড্রিম প্রজেক্ট। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে অপেক্ষা করে পাঁচ বছরের পরিশ্রম ও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তিনি এই ছবিটি বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন। ছবির জন্য তিনি নিজের ওজন অনেকটাই কমিয়ে নেন। হলুদ পাগড়ি, হাতে কড়া, দাড়ি-গোঁফে পাঞ্জাবী সাজে একেবারেই আলাদা লুকে দেখা গিয়েছে তাকে।
যদিও আমির খানের এই ছবি বক্স অফিসে একেবারেই ঠাঁই পাইনি। আসলে সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমত বয়কটের মুখে পড়তে হয়েছে আমির খান এবং তার ছবিকে। হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও দর্শকরা কেউই হলে তার ছবিটি দেখতে আসেননি। বক্সঅফিসে ডাঁহা ফেল করে তার ছবিটি। কিন্তু তার মাঝেও তিন খানের মধ্যে আমির খানের নাম টাও বলিউডে একটা অন্য জায়গা করে নিয়েছে । দর্শক আজও ভোলেনি তার দেওয়া সেরা ছবিগুলো।
Comments are closed.