কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করবে বলে বাজেট ভাষণে জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই খসড়াকে শিক্ষার গৈরিকীকরণ বলে কটাক্ষ করেছে। শনিবার অর্থমন্ত্রী জানান, এবার শিক্ষায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্কিল ইন্ডিয়া এডুকেশন প্রকল্পে আরও তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। সরকার কর্মসংস্থান ভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে চায়। তার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হবে বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপরেও। বাজেট ঘোষণায় আরও জানানো হয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ককে শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে ঋণ দিতে বলা হয়েছে। এবার থেকে স্যাট পরীক্ষায় এশিয়া, আফ্রিকার পড়ুয়ারাও বসতে পারবেন। ডিগ্রি স্তরে অনলাইনে পড়ার সুবিধা পাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। পিছিয়ে পড়া মানুষদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে।
বাজেট ভাষণে বলা হয়, আরও বেশি করে পিপিপি মডেলে সারা দেশে মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলা হবে। জেলা হাসপাতালগুলিকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার কর বাবদ যে আয় করবে, তা বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য উন্নয়নে খরচ করা হবে। কেন্দ্রের লক্ষ্য হল ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে টিবিমুক্ত করা। ‘টিবি হারেগা, দেশ জিতেগা’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচার চালানো হবে।
Comments are closed.