মূল্যবৃদ্ধির ভ্রুকুটি উস্কে দিয়ে বাজেটে দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের, গৃহ ঋণের সুদে বাড়ল ছাড়, অপরিবর্তিত আয়কর কাঠামো

দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের। তবে গৃহ ঋণের সুদে ছাড়ের সীমা বাড়ল। আয়কর কাঠামো রইল অপরিবর্তিত। সব মিলিয়ে প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেটে খুশি হওয়ার কারণ খুঁজছে মধ্যবিত্ত।

আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত কিন্তু পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ল বাজেটে। ফলে করের বোঝা নতুন করে না চাপালেও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্তের পকেটে আরও বেশি চাপ ফেলবে বলাই বাহুল্য। এক ধাক্কায় লিটারে ২ টাকা করে দাম বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের। আয়কর-কাঠামোয় কোনও রদবদল হয়নি। এখন যেমন বছরে ৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় করলেই কর দিতে হয়, সেই নিয়মই বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন জিনিসের দাম বাড়ল আর কীসের দাম কমল।
পেট্রোপণ্যের দাম কমবে বলে আশা করেছিল আমজনতা, সে জায়গায় লিটার প্রতি ২ টাকা করে বাড়ছে পেট্রল, ডিজেলের দাম। পেট্রল, ডিজেলের ওপর বাড়তি ১ টাকা করে অন্তঃশুল্ক বসানোর ঘোষাণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি রোড সেসের জন্য আরও ১ টাকা দাম বাড়ছে পেট্রোল এবং ডিজেলের। এর ফলে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে। যে বোঝা বাড়তি হিসেবে বইতে হবে মধ্যবিত্তকে।
সোনা কেনায় শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ডিজিট্যাল ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা, ডিজিট্যাল ও নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার, অপ্টিক্যাল ফাইবার কেবলের দাম বাড়তে চলেছে। বাড়ছে সিগারেট, পান মশলা, তামাকজাত দ্রব্যের দাম। বিদেশি বই, অটো পার্টস, সিন্থেটিক রবার, টাইলস, মার্বেল পাথর, ভিনাইল ফ্লোরিংয়ের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে, দাম কমছে ইলেকট্রিক ও ব্যাটারি চালিত গাড়ি এবং ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের।

বাজেটে গৃহঋণের সুদে ছাড়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কোনও বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দাম যদি ৪৫ লক্ষ টাকা বা তার চেয়ে কম হয়, তা হলে, তা কেনার জন্য নেওয়া ঋণের উপর ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত যত সুদ দেওয়া হয়েছে, তার উপর আরও দেড় লক্ষ টাকা কর-ছাড় দেওয়া হবে। এখন যে পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ টাকা।
পাশাপাশি ৬০ বছর বয়সী অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশনে ঘোষণা রয়েছে বাজেট প্রস্তাবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষির পরিকাঠামো উন্নতিতে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষক আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও বাজেটে ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমণ।

Comments are closed.