ছাঁটাই শুরু বাংলা সংবাদপত্রেও, এই সময় পত্রিকায় কর্মীদের ফোন করে ইস্তফা দিতে নির্দেশ

করোনা আবহে ছাঁটাই চলছে সর্বত্র। মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যমও তার ব্যতিক্রম নয়। আগেই শোনা গিয়েছিল, ভারতের প্রথম সারির একাধিক সংবাদমাধ্যমে কোথাও ছাঁটাই চলছে, আবার কোথাও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেতন। ক’দিন আগেই thebengalstory.com এ প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকা, এই সময় এবং আজকাল সংবাদপত্রে কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার ছাঁটাইয়ের কোপ এসে পড়ল বাংলাতেও।
সম্প্রতি বেতন কমেছে টাইমস গ্রুপের বাংলা দৈনিক এই সময়ের কর্মীদের। সূত্রের খবর, ১৪ মে এই সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের তরফে বেশ কয়েকজন জন সংবাদকর্মীকে ফোন করে ইস্তফা দিতে বলা হয়। একই ফোন কল গিয়েছে দ্য ইকনমিক টাইমসের কয়েকজন কর্মীর কাছেও। সংস্থার তরফে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলার পরপরই এই কর্মীদের অধিকাংশই ইস্তফা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই সময়ের অন্তত ৯ জন সাংবাদিককে ফোন করে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। ইকনমিক টাইমসের ৩ জনকেও বলা হয়েছে ইস্তফা দিতে।
এর আগে এই সময়ের প্রত্যেক কর্মীর মূল বেতনের প্রায় ৫ শতাংশ ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ সুবিধার প্রায় ৮-১০ শতাংশ, সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ কমানো হয়। এবার তার সঙ্গেই জুড়ল ফোন করে ইস্তফা দিতে বলার ঘটনা।
শুক্রবার নিউজ পোর্টাল নিউজলন্ড্রিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলছে, বেনেট কোলম্যান কোম্পানি লিমিটেড (BCCL) যা টাইমস গ্রুপ নামেই অধিক পরিচিত, তার এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান শিবকুমার সুন্দরম একটি ই-মেলে জানিয়েছেন, এই অপ্রত্যাশিত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে এবং দীর্ঘমেয়াদে সংস্থার ভবিষ্যত নিরাপদ করতে স্বল্পমেয়াদী কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
তার দু’সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা, চণ্ডীগড় ও কোচিতে দ্য ইকনমিক টাইমসের অফিসে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়। প্রতিবেদন বলছে, ভিডিও কলের মাধ্যমে ইকনমিক টাইমসের এডিটোরিয়াল এবং এইচআর বিভাগের কর্তাদের উপস্থিতিতে ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলে। অন্তত ১২ জন কর্মী, যাঁরা একইসঙ্গে ইকনমিক টাইমস এবং দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার জন্য কাজ করতেন, তাঁদের ছেঁটে ফেলা হয়, বলে জানাচ্ছে প্রতিবেদন।

এবার টাইমস অফ ইন্ডিয়া এবং ইকনমিক টাইমসের রাস্তা ধরে এই গোষ্ঠীর বাংলা সংবাদপত্র এই সময়ে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হল। ফের কর্তৃপক্ষের তরফে ফোন করে এই সময় কর্মীদের কয়েকজনকে ইস্তফা দিতে বলা হল।

Comments are closed.