ভীমা কোরেগাঁও এবং এলগার পরিষদ মামলায় তলব করা হল বিজ্ঞানী তথা আইআইএসইআর কলকাতার অধ্যাপক পার্থসারথি রায়কে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএর পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে অধ্যাপককে। ১০ সেপ্টেম্বর তাঁকে মুম্বই পৌঁছোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনআইএ সূত্রে খবর, এলগার পরিষদ মামলায় ধৃতদের জেরা করে সমিতির অন্যতম সংগঠক হিসেবে পার্থসারথি রায়ের নাম উঠে এসেছে। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বইতে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে এনআইএ-র তলবের তীব্র সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। সংগঠনের তরফে রঞ্জিত শূর বলেন, এভাবে বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা করছি।
আইআইএসইআর অন্যতম পরিচিত বিজ্ঞানীর নাম পার্থসারথি রায়। তাছাড়া বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ এবং সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত থেকেছেন।
২০১২ সালে নোনাডাঙা আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সে’সময় প্রায় দু’সপ্তাহ জেল হেফাজতে থাকতে হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গণ আন্দোলন ছাড়াও ওড়িশার বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন পার্থসারথি রায়।
পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিষিদ্ধ নকশাল সমিতি ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে এলগার পরিষদে একটি বৈঠক করে। তার ঠিক পরের দিনই, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ভীমা কোরেগাঁও কাণ্ডের হিংসাত্মক পরিস্থিতির সাক্ষী হয় পুনে। তাতে নাম জড়ায় ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সমাজকর্মীর। তাঁরা এখনও জেলবন্দি। সম্প্রতি তেলেঙ্গানার কবি ভারাভারা রাওয়ের গ্রেফতারি এবং তাঁর শারীরিক দুরবস্থার মধ্যেও জামিন না দেওয়া নিয়ে ঝড় উঠেছিল। এবার কলকাতার বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী পার্থসারথি রায়কে ডেকে পাঠানোয় সরব হল মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
Comments are closed.