মৃত্যুর পরেও মেলেনি যোগ্য সম্মান! অভিষেক চ্যাটার্জীর অপমানে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, মুখ খুললেন দীর্ঘদিনের বন্ধু শুভাশিস
১৯৮৬ সাল, সেই বছর প্রথম কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের পথভোলা চলচ্চিত্রের হাত ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন অভিষেক চ্যাটার্জী। এটিই ছিল তার প্রথম ডেবিউ ফিল্ম। এরপর দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে বেশ কয়েকবছর, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত টলিউডের ২৫০ এরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন অভিষেক। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। দর্শকমহলে তার নাম, যশ, খ্যাতি ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু তবুও ইন্ডাস্ট্রিতে চিরকাল বঞ্চিতই রয়ে গেল।
তবে শেষের দিকে তাকে আর বড়পর্দায় দেখা যায়নি। যেখানে তার সঙ্গেই উঠে আসা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আজও অভিনয় করে চলেছে। একরাশ অভিমান বুকে চেপে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রির নোংরা পলিটিক্স তিনি নিতে পারেননি। কিন্তু তার মৃত্যুতে কি একদিনের জন্য কি ইন্ডাস্ট্রি ছুটি দিতে পারলো না? প্রশ্ন তুলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক চ্যাটার্জীর সাথেই তখন কমেডিয়ান চরিত্র হিসেবে শুভাশিস মুখোপাধ্যায় ও দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। এই তিনজনের একসাথে জুটি মনে সেটা সুপারহিট। ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ বলে চিনতেন। শুভাশিস অভিষেকের শুধুমাত্র সহকর্মী নন একজন অত্যন্ত কাছের বন্ধু ছিলেন। তার অকাল প্রয়াণে কেঁদে ভাসিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ‘মিঠু তো আমার শুধু সহকর্মী ছিল না, বরং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। একপ্রকার আত্মীয় হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক আমাদের মধ্যে। কিছুদিন আগে তপসটা চলে গেলাম আর এবার মিঠু। হ্যাঁ একটু অভিমানী ছিল ঠিকই কিন্তু ভীষণ সোজাসাপ্টা মানুষ ছিল’। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমি জানি না কি প্রতিক্রিয়া দেব! আমরাও তো মানুষ, শিল্পী বলে হয়ত আমরা আরও বেশি আবেগপ্রবণ। কত পুরোনো কথা মনে পড়ছে।’
অভিনেতার দাবি চার দশক ধরে যেই মানুষটা দর্শকদের এত ভালো ভালো কাজ দিয়েছে তার কি এইটুকু সন্মান প্রাপ্য নয়? ইন্ডাস্ট্রি কি একদিন তার মৃত্যুর জন্য ছুটি দিতে পারতো না?
Comments are closed.