৩ দিনে বাড়ি খালি না করলে বন্ধ জল-বিদ্যুৎ, প্রাক্তন সাংসদদের হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের, মন্ত্রের মতো কাজ

জল সরবরাহ বন্ধ হতে পারে, বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ। মোদী সরকারের এহেন হুঁশিয়ারির কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারি আবাসন ছাড়লেন প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাক্তন সাংসদ।
রাজধানী দিল্লিতে বাসস্থানের সমস্যা নতুন নয়। সমস্যা জটিলতর সাংসদদের আবাসন দেওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ, নির্বাচনে হেরে গেলেও বাংলো ছাড়তে চান না প্রাক্তন সাংসদরা। দল মত নির্বিশেষে এই সমস্যা সকলেরই। এদিকে পুরনোরা বাংলো না ছাড়লে, নতুন সাংসদদের থাকার জায়গা দেওয়া যায় না। সাংসদদের বারবার বলেও তাঁদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করতে পারেনি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারই। এই সমস্যা সমাধানে এবার হুঁশিয়ারির পথে গেল মোদী সরকার।

সোমবার সংসদীয় প্যানেল জানায়, যে প্রাক্তন সাংসদরা সরকারি আবাসন ছাড়ছেন না, ৩ দিনের মধ্যে সেই সব আবাসনে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইলেকট্রিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে। এই সাবধানবাণীর পরেই প্রাক্তন সাংসদরা নিজে থেকে সরকারি আবাসন খালি করে দিচ্ছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, এখনও ১০৯ জন প্রাক্তন সাংসদ সরকারি আবাসন খালি করেননি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে ৯০ শতাংশ প্রাক্তন সাংসদই সরকারি আবাসন খালি করে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সোমবার সংসদীয় প্যানেল সাবধান করে দিয়েছিল, প্রাক্তন সাংসদরা ঘর না ছাড়লে জল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন তারা। প্রায় ৩০০ নতুন সাংসদের থাকার বন্দোবস্ত করতেই এই পদক্ষেপ। আর এতেই মন্ত্রের মতো কাজ হয়। একের পর এক প্রাক্তন সাংসদ নিজে থেকেই সরকারি আবাসব খালি করতে থাকেন বলে খবর।
নিয়ম মতো, সাংসদ পদ থেকে সরে যাওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রাক্তন সাংসদদের সরকারি আবাসন ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু প্রচুর প্রাক্তন সাংসদই এই নিয়ম মানেন না। এদিকে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রের নতুন সাংসদদের দিল্লিতে গিয়ে থাকতে হচ্ছে কোনও হোটেল বা গেস্ট হাউসে। এই প্রেক্ষিতে কড়া দাওয়াই সংসদীয় প্যানেলের।
যদিও প্রাক্তন সাংসদরা আবাসন ছাড়ার পরও, আরও কয়েক সপ্তাহ সরকারি আবাসন পেতে অপেক্ষা করতে হবে নতুন সাংসদদের। প্রাক্তন সাংসদদের খালি করা ঘর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন সাংসদদের নতুন আবাসনে অন্তর্ভুক্ত করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তাছাড়া, যে সাংসদরা ফের নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু ক্যাবিনেটে জায়গা পাননি তাঁদেরকেও পুরনো ঘর ছেড়ে নতুন বাংলোতে যেতে হবে।

Comments are closed.