কৃষকদের ডাকে আজ ভারত বনধ। ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই বনধ সমর্থনকারীরা পথে নেমেছেন।
বাংলা, দিল্লি, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে রাস্তা ঘাট শুনশান। দেশের প্রায় সবকটি পরিবহন সংগঠন বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। ফলে দেশ জুড়ে পণ্য পরিবহন কার্যত বন্ধ। মহারাষ্ট্রে কৃষকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সমস্ত সরকারি কৃষি মান্ডি বন্ধ রয়েছে। কার্যত এক চিত্র ওড়িশা, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানাতে।
বাংলায় সকালের আগেই বনধ সফল করতে পথে নেমেছেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। সিপিএম দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক মিছিল করে। মেদিনীপুর থেকে বাম বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সিপিআইএমএল লিবারেশন নদিয়া, মালদহ সহ বিভিন্ন জায়গায় পথে নেমেছে।
সোমবার মেদিনীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার নীতিগতভাবে বনধের বিরোধী। কিন্তু তৃণমূল কৃষকদের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। দলকে নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, আজ থেকে ব্লকে ব্লকে এই ইস্যুতে ধরনা চলবে। ফলে বনধ ব্যর্থ করতে সরকারি প্রয়াস কতটা চোখে পড়বে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের দাবিতে কার্যত স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী।
এদিকে সাধারণ মানুষের দুর্গতির কথা ভেবে দিল্লিতে ধরনারত কৃষক নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সকাল ১১ তা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত চাক্কা জাম করা হবে। দোকান বাজার বন্ধ করার জন্য কথাও জবরদস্তি করা হবে না।
Comments are closed.