স্বাস্থ্যের কারণে জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। খবর এলো, তিনি আর নেই। হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অশীতিপর ফাদার স্ট্যান স্বামী। এলগার পরিষদ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১.৩০ টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
সোমবার সকালেই স্বাস্থ্যের কারণে জামিনের জন্য আবেদন করেন ফাদার স্বামীর আইনজীবীরা। রবিবার থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
গত ২৮ মে আদালতের নির্দেশে স্ট্যান স্বামীকে মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পারকিনসন্সে ভুগছিলেন ৮৪ বছরের স্ট্যান স্বামী। করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়েন। অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে নিজে হাতে জল পর্যন্ত খেতে পারছিলেন না তিনি। একটি সিপারের আবেদন করেছিলেন তালোজা জেলে। কিন্তু পাননি। শেষ পর্যন্ত একটি সিপারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁর আইনজীবীদের। এনআইএ বরাবর তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে দাবি করে এসেছে আদালতে।
গত বছর অক্টোবরে এনআইএ তাঁকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে আদিবাসীদের অধিকারের দাবিতে নিরলস কাজ করেছেন স্ট্যান স্বামী। রাঁচির বাসিন্দা স্ট্যান স্বামীকে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইউএপিএ আইনে মামলা করেছিল এনআইএ। যদিও তাঁর জীবদ্দশায় তা প্রমাণ করতে পারেনি এনআইএ।
Comments are closed.