প্রার্থী বিড়ম্বনা যেন কাটতেই চাইছে না বঙ্গ বিজেপির। কখনও যে ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে তিনিই বেঁকে বসছেন আবার কোথাও অপছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে পার্টি অফিসে আগুন দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা। ভোটমুখী বঙ্গে এক নতুন রঙ্গে মজে বাঙালি। এবার সেই ঘটনা উপহাস হয়ে উঠে এলো অভিষেক ব্যানার্জির গলায়।
কেশপুরে সভা করতে গেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। সেখানেই বিজেপির প্রার্থী তালিকা বিভ্রান্তি নিয়ে ব্যঙ্গ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। বলেন, এখন মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন যে বিজেপির চোখে পড়লেই কিডন্যাপ করে দিল্লি নিয়ে চলে যাবে। মানুষ প্রশ্ন করছেন, ধরে বেঁধে প্রার্থী করে দেবে না তো বিজেপি!
অভিষেকের মুখে এই কথা শুনে হেসে কুটিপাটি কেশপুরের মানুষ। অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, বিজেপি প্রার্থী হওয়ার লোক পাচ্ছে না। চাতক পাখির মতো হাপিত্যেশ করে বসে থাকছে আর মনে মনে ভেবে যাচ্ছে, কবে তৃণমূল দল থেকে কাউকে তাড়ায় আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে প্রার্থী করে দেওয়া যায়। অভিষেক ব্যানার্জির তোপ, এর আগে আমাদের ইশতেহার টুকেছে বিজেপি। তাঁর কথায়, বিজেপি না পারে সভা ভরাতে না পারে ইশতেহার তৈরি করতে। সব কিছুতেই অন্যের উপর ভরসা! এখানেই উঠে আসে অমিত শাহের গোসাবার সভায় খেলা হবে গান বাজার প্রসঙ্গ। অভিষেক ব্যানার্জির কটাক্ষ, ইশতেহার টুকেও শান্তি হয়নি। এবার অমিত শাহের সভাতেও খেলা হবে গান বাজাতে হল। কী অবস্থা ভেবে দেখুন, বলেন অভিষেক ব্যানার্জি।
তাঁর অভিযোগ, বিজেপির এমন খারাপ অবস্থা যে বাংলার ইশতেহার পরে শোনাতে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ থেকে লোক আনতে হয়। অথচ সোনার বাংলা বানাতে চাওয়া কেউই বাংলার মানুষ নন! এদিনের সভার ভিড় দেখে তিনি বলেন, এই ভর বলে দিচ্ছে তৃণমূল ২৫০ পার আর বিজেপি ২০০ মে হার!
Comments are closed.