ফুটপাথে ফুল বিক্রি করতেন তিনি। আর সেখান থেকে বিদেশে যাচ্ছেন পিএইচডি করতে এক মহিলা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই করে দেখিয়েছেন মুম্বইয়ের সরিতা মালি। ২৮ বছর বয়সী সরিতা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন।
মুম্বইয়ের রাস্তায় বাবার সঙ্গে ফুল বিক্রি করেন সরিতা মালি। ফুল বিক্রির টাকা দিয়ে সংসার চলে। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন সরিতা। স্কুল জীবনের পর শুরু হয় কলেজ জীবন। এখন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিতা হিন্দিতে পিএইডি করছেন তিনি। জুলাই মাসে থিসিস জমা দেবেন। এর আগে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই M.A এবং এমফিল করেছেন সরিতা। পড়াশোনার ফাঁকে বাবার সঙ্গে ফুল বিক্রি ও মালা গাঁথার কাজ করেন সরিতা। মুম্বইয়ের গণেশ চতুর্থী হোক বা দিওয়ালি এইসব উৎসবে আয় একটু বেশি হয়। এরপর কোভিডের জন্য থমকে গিয়েছিল জীবন। কমেছিল আয়। ৬ জনের পরিবারে একমাত্র উপার্জন করেন বাবা। তাই বাবাকে সাহায্য করতে পড়াশোনার পাশাপাশি ফুলের ব্যবসার কাজ সামলান তিনি।
তিনি জানিয়েছে, এক আত্মীয়ের কাছে দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা শুনেছিলাম। এরপর সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাই। ২০১৪ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরেই আমার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে জানিয়েছে, জীবনে অনেক কিছু করতে পারি। আমার কাছে ছিল না স্মার্টফোন। যেখানে থাকতাম, সেখানে ইন্টারনেট ছিলনা। কিন্তু সেখান থেকে লড়াই করে আজ আমি পোস্ট ডক্টরেট করতে আমেরিকা যাচ্ছি। ইচ্ছা থাকলে সব করা সম্ভব। ইচ্ছা আর অধ্যাবসা থাকলে সব বাধা পেরিয়ে অনেক কিছু করা যায় বলে জানিয়েছেন সরিতা।
Comments are closed.