প্রয়াত হলেন অভিনেতা ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। বুধবার ভোরে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
সূত্রের খবর, মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুম্বই গিয়েছিলেন তাপস পাল। এদিন ভোরে কলকাতা ফেরার পথে বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দ্রুত জুহুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদের প্রয়াণে শোকের ছায়া টলিউড থেকে রাজনৈতিক মহলে।
তাপস পালের জন্ম চন্দননগরে। হুগলির মহসিন কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি ১৯৮০ সালে পরিচালক তরুণ মজুমদারের হাত ধরে। ‘দাদার কীর্তি’ সিনেমার মাধ্যমে টলিউডে আত্মপ্রকাশ। এরপর ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘সাহেব’, ‘পথভোলা’, ‘গুরুদক্ষিণা’র মতো একাধিক ছবির মাধ্যমে টলিউডে এক নম্বর নায়কের তকমা লাভ করেন। তবে ২০১৩ সালের পর আর পর্দায় সে ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে।
রাজনীতিতেও তাপস পালের সাফল্য ছিল চোখধাঁধানো। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ। ওই বছর এবং ২০০৬ সালে পরপর দু’বার বিধানসভা নির্বাচনে জয়। এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে সাংসদ হন।
তাপস পালের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁকে বাংলা সিনেমার সুপারস্টার আখ্যা দিয়ে মমতা শোকবার্তায় লেখেন, তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সদস্য তাপস পালের আকস্মিক প্রয়ানে শোকস্তব্ধ বাংলার চলচ্চিত্র প্রেমীরা। স্ত্রী নন্দিনী এবং কন্যা সোহিনী সহ তাপস পালের ভক্তদেরও সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১৬ সালে রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হন তাপস পাল। দীর্ঘদিন ভুবনেশ্বরে সিবিআই জেলে থাকার পর মুক্তি পান। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির ময়দান থেকে পর্দা, কোথাও আর দেখা যায়নি তাপস পালকে।
Comments are closed.