অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ৪ বছরের সৌজন্য পায়ে হেঁটে পৌঁছে গেল সান্দাকফু
ঘন কুয়াশা, তীব্র ঠান্ডা আর কঠিন চড়াই রাস্তা... কিন্তু কোন দুর্যোগই সৌজন্যের চলার পথে বাঁধা হতে পারেনি।
হাতেখড়ি হয়েছিল ৫ মাসেই। তারপর বছর ৩ কাটতেই মাত্র চার বছরের সৌজন্য কুমার পায়ে হেঁটে পৌঁছল সান্দাকফু।
বাড়িতে সদস্য চারজন। বাবা পর্বত আরোহী, মা অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। চার বছরের একরত্তি সৌজন্যের ইনস্পিরেশন তাঁর বাবা-মা। তাই অদম্য ইচ্ছাশক্তি, বুক ভর্তি সাহসকে সঙ্গী করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মানেভঞ্জন থেকে হাঁটা শুরু করে সে। তারপর তুমলিং, কালাপোখরী…। কালাপোখরীতে এক রাত কাটিয়ে ১ মার্চ পৌঁছায় সান্দাকফু।
তিন দিনের এই যাত্রাপথ খুব সহজ ছিল না। ঘন কুয়াশা, তীব্র ঠান্ডা আর কঠিন চড়াই রাস্তা… কিন্তু কোন দুর্যোগই সৌজন্যের চলার পথে বাঁধা হতে পারেনি। এমনটাই জানালো সৌজন্যের মা।
৫ মার্চ ফেসবুকের একটি ট্রাভেল গ্রুপে সৌজন্যের মা উজানতরী কুমার একরত্তি ছেলের পাহাড়ে চড়ার গল্প শেয়ার করেন। তারপরই রাতারাতি ভাইরাল হয় সেই পোস্ট।
১ মার্চ ছিল সৌজন্য কুমারের জন্মদিন। আর ১ তারিখেই সান্দাকফুয়ে পা রাখল সৌজন্য। সেখানেই পালন করা হল চতুর্থতম জন্মদিন। ২ মার্চ এত কষ্টের কেষ্ট মিলল খুদে সৌজন্যের। কুয়াশা কাটিয়ে আকাশ পরিষ্কার হওয়া মাত্রই জন্মদিনের উপহার নিয়ে হাজির হল, মাউন্ট এভারেস্ট, মাউন্ট লোৎসে, মাউন্ট মাকালু, থ্রি সিস্টার্স সহ ঘুমন্ত-বুদ্ধ কাঞ্চনজঙ্ঘা। এরপর ব্যাগভর্তি বিস্ময়, অনেক স্মৃতি আর অ্যাডভেঞ্চারকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরে সৌজন্য কুমার। এই একরত্তির বিস্ময়ের গল্প এখন ফেসবুকের পাতায় বহু ভ্রমণপ্রেমী, পাহাড়প্রেমী মানুষকে উৎসাহ দিচ্ছে।
Comments are closed.