ইউরোপের সবচেয়ে প্রবীণ নাগরিক ফ্রেন্ডস সিস্টার আন্দ্রেঁ করোনাকে জয় করে মঙ্গলবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে ১১৮ তম জন্মদিন পালন করলেন।
ফরাসি ‘নান’ লুসিল র্যান্ডনের জন্ম ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ১১ ফেব্রুয়ারি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তোলোঁয় একটি নার্সিংহোমে প্রায় এক মাসের কাছাকাছি ভর্তি ছিলেন। সিস্টার আন্দ্রেঁর কোভিডের কোন উপসর্গ ছিলনা। কিন্তু তিনি যে হোমের থাকতেন তাদের ৮৮ জনের মধ্যে ৮১ জনই করোনায় সংক্রমিত হয়। এবং সংক্রমিতদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এতকিছু খবর পাওয়ার পরেও বেঁচে থাকার আশা ছাড়েননি সিস্টার আন্দ্রেঁ। বরং হোমে সকলের খবরা খবর নিতেন প্রতিনিয়ত।
কয়েকদিন আগে হোমে সিস্টার আন্দ্রেঁর ১১৮ তম জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন ‘‘মৃত্য ভয়কে জয় করেছিলেন কী ভাবে?’’ আন্দ্রেঁ জবাব দেন, ‘‘কোনও দিনই তো মৃত্যুভয় পাইনি। তাই কোভিডে মারা যেতেও ভয় পাইনি। যিশুর নাম জপিনি। ভালই আছি। তবে সব সময় অপেক্ষা করি থাকি কবে ও-পারে যাব। মরণের পারে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকি। গেলেই যে দাদা, দাদু, ঠাকুমার সঙ্গে আবার দেখা হয়ে যাবে।’’
জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১১৭ বছর বয়সি সিস্টার আন্দ্রেঁ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রবীণতম। তাঁর আগে এক জনই রয়েছেন। জাপানের কানে তানাকা। এক বছরের বড়। ইউরোপে সিস্টার আন্দ্রেঁর চেয়ে বেশি বয়সের আর কেউ জীবিত নেই।
Comments are closed.