গৌরি লঙ্কেশ ট্রাস্টের সম্পাদক, বিশিষ্ট লেখক এবং সমাজকর্মী নরসিংহমূর্তি গ্রেফতার, সমালোচনার ঝড়

গ্রেফতার হলেন দক্ষিণ ভারতের বিশিষ্ট লেখক এবং সাংবাদিক দোদ্দিপানয়া নরসিংহমূর্তি। তিনি প্রয়াত সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, গত ২৫ অক্টোবর কর্ণাটকের রাইচুর এলাকায় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্র এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিশিষ্ট এই সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশ ট্রাস্টের সম্পাদক এবং গৌরি লঙ্কেশের প্রকাশনা নয়াপথের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও যোগেন্দ্র যাদবের রাজনৈতিক সংগঠন স্বরাজ ইন্ডিয়ার কর্ণাটক শাখার সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন বিশিষ্ট এই সাংবাদিক।
কিন্তু হঠাৎ কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৯৪ সাল থেকেই তাঁকে খোঁজা হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নকশাল আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি তাঁকে বহু বছর ধরেই খোঁজা হচ্ছিল। ১৯৯৪ সাল থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। যদিও পুলিশের এই দাবি মানতে চাননি নরসিংহমূর্তির ঘনিষ্ঠরা। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন সাংবাদিক সম্মেলনে, সামাজিক অনুষ্ঠানে, এমনকী ট্রাস্টের অনুষ্ঠানেও প্রকাশ্যেই তিনি বহুবার রাইচুর এলাকায় এসেছেন। তাহলে কেন তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি, এখন কেন হঠাৎ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে? তাঁদের আরও দাবি, যদি নরসিংহমূর্তিকে এত বছর ধরে খুঁজে পাওয়া নাই যায় তাহলে তাঁর ছবি প্রকাশ করা হয়নি কেন? কেনই বা মিডিয়াকে তাঁর বিষয়ে বলা হয়নি।
পুলিশের এই হঠাৎ তৎপরতায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক যোগেন্দ্র যাদবও। তিনি বলেন হিংসা, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রমাণ থাকলে কেন তাঁকে আগে গ্রেফতার করা হল না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। বলেছেন, অভিযোগ থাকলে আগে তা প্রমাণ করে তারপর গ্রেফতার করা উচিত ছিল দোদ্দিপানয়া নরসিংহমূর্তিকে।

 

Comments are closed.