করোনার আবহে সাধারণ ‘ফ্লু’-এর হার ১৩০ বছরে সর্বনিম্ন
WHO জানিয়েছে, ১৮৮৮ সালের আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ এতটা কম ছিল।
করোনা পূর্ববর্তী সময়ে গরম থেকে শীতের মুখে, গোটা শীতটা এবং শীত থেকে গরম… মরসুম পরিবর্তনে বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলেরই অল্পবিস্তর সর্দি-কাশি হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু বহু দেশ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চলতি মরসুমে যত সংখ্যক মানুষের ফ্লু হয়েছে, তা ১৩০ বছরে সবচেয়ে কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে জানিয়েছে, ১৮৮৮ সালের আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ এতটা কম ছিল। WHO -এর দেওয়া তথ্য বলছে, শুধু আমেরিকা, ইংল্যান্ড নয় গোটা পৃথিবী জুড়ে তীব্র ভাবে কমে গিয়েছে সাধারণ ফ্লু-য়ের সংক্রমণ। অন্যদিকে, তথ্য প্রমাণ না থাকলেও ভারতীয় চিকিৎসকরাও মানছেন সাধারণ ফ্লু-এর প্রতিপত্তি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিনে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, ফলে সাধারণ ফ্লু -এর ভাইরাস এসে ঢুকতেই প্রতিরোধক ক্ষমতা তাকে দ্রুত আটকে দিচ্ছে।
সমীক্ষা বলছে, প্রতিবছর ইংল্যান্ডে প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান ফ্লু-এ আক্রান্ত হয়ে। তা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কারণ করোনার পাশাপাশি এই ফ্লু-এর আক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারত। যদিও সেই শঙ্কা কাটিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড, পরিস্থিতি উল্টে ভালোর দিকেই চলে গিয়েছে। আপাতত ভারতে এমন কিছু হচ্ছে কি না, তা জানার জন্য পরিসংখ্যান করা জরুরি। সেই পরিসংখ্যান যতক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে, তত ক্ষণ এ বিষয়ে সদর্থক মতামত দেওয়া বেশ কঠিন।
Comments are closed.