জিনি আসলে অনামিকা! ধরে ফেলেছে বিক্রম! অনামিকা কেই উল্টো প্যাঁচে ফেলে দিলো বিক্রম! লালকুঠি জমজমাট পর্ব, ভাইরাল ভিডিও
জি বাংলার রহস্য রোমাঞ্চ ধারাবাহিক লালকুঠি রীতিমতো জমে উঠেছে। এই ধারাবাহিকের জিনি কে এই নিয়ে একটা রহস্যের তৈরি হয়েছে। বিক্রম জিনি হিসেবে তিনজনকে সন্দেহ করছে- একজন মহুয়া দ্বিতীয়জন রুপালী তৃতীয় জন অনামিকা। কিন্তু অনামিকা খুব সুন্দরভাবে বিক্রমের সন্দেহের জায়গা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে বিক্রমের সন্দেহের তীর ঘুরিয়ে দিচ্ছে রূপালী এবং মহুয়ার দিকে। যাতে বিক্রম ঘুণাক্ষরেও তার প্রতি সন্দেহ না করে।
বিক্রম কে অনামিকাই বলে যে রূপালীর আসল নাম ইউ ডি, যা আসলে জিনির ও আসল নাম। অন্যদিকে রূপালীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবার জন্য বিক্রমকে সে নিজের সাথে নিয়ে যায়। রূপালির বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর করে তারা জানতে পারে যে রূপালী ১২ বছর আগে সেখানে এসেছিল এবং তার তিন কূলে কেউ কোথাও ছিল না। তার সাথে যে ভাইটা থাকে তাকে সে কুড়িয়ে পেয়েছিল এবং সে যখন এসেছিল তখন তার সাজ পোশাক দেখে মনে হচ্ছিল সে খুব উচ্চবিত্ত বাড়ির মেয়ে আর তার চেহারার মধ্যে একটা ছেলে ছেলে ভাবছিল।- এইসব পয়েন্টগুলোই জিনির সাথে মেলে।
অন্যদিকে মহুয়া তার ও বাবা মা নেই। একটা অ্যাক্সিডেন্টে তারা মারা গেছে। বিক্রমের সম্পর্কে অনেক তথ্যই মহুয়া জানে এইভাবে অনামিকা মহুয়ার দিকেও সন্দেহের তীর ঘুরিয়ে দিচ্ছে। নিজে সে বিক্রমকে বুঝতে সাহায্য করছে জিনি কে আর এই সন্দেহের তালিকা থেকে নিজেকে একেবারে আড়াল রাখছে। কিন্তু অনামিকা যখন সেখান থেকে চলে যায় তখন বিক্রম বোর্ডের মধ্যে একটা ইকুয়াল সাইন দিয়ে লিখে যে জিনি = অনামিকা।
আসলে বিক্রম জিনিকে ভালোবাসতো আর জিনির সাথে মনের ওই টানটা বিক্রম রূপালী বা মহুয়া কারোর সাথেই অনুভব করে না একমাত্র অনামিকা ছাড়া। এছাড়া অনামিকা দত্তদের পুরনো গোডাউনের ব্যাপারে জানে এবং বিক্রমের দুপুরের রোদে গায়ে জ্বর আসে সে বিষয়েও জানে- এছাড়া মনের টান তো রয়েইছে। সব মিলিয়ে বিক্রমের কাছে পুরো পরিষ্কার যে জিনি আসলে কে!
সম্প্রতি একজন নেটিজেন এই নিয়ে লিখেছেন, “অনামিকার নিজের পাতা ফাঁদে এবার নিজেই পা দেবে। ও ভেবেছিলো রুপালি আর মহুয়ার উপর বিক্রমের সন্দেহ টা যাক আর ওর উপর যেনো বিক্রমের কোনো সন্দেহ না হয় ।কিন্তু এদের কারোর সাথেই বিক্রমের কোনো Feel আসে নি ।Feel আসে শুধু অনামিকার সাথে বেচারি অনামিকা বুঝতেই পারছে না । বিথীকে সব প্রমাণ দেবে বিক্রম অনামিকাই যে জিনি।
Comments are closed.