করোনা এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী করণীয়? অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জির নেতৃত্বে অ্যাডভাইজারি কমিটি গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

লকডাউনের মধ্যে মানুষকে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে। জানি না কত দিন আর এটা চলবে। ২১ দিনেই লকডাউন শেষ হয়ে যাবে, মনে হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সামগ্রিক অবস্থা এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড গড়লেন মমতা ব্যানার্জি।
বোর্ডের নেতৃত্বে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি। থাকবেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন রিজিওনাল ডিরেক্টর ডাঃ স্বরূপ সরকারও। সদস্যদের সহায়তা করবেন চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী এবং চিকিৎসক সুকুমার মুখার্জি। লকডাউন উঠলে অর্থনীতি বাঁচাতে কী কী করা প্রয়োজনীয়, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেবে এই বোর্ড। পরবর্তীতে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন সদস্য নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই বোর্ড সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে করোনা মোকাবিলা এবং পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিতে করোনা-ক্ষত সারাতে কী কী করা প্রয়োজন তা জানাবে। সোমবার দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এদিনই তিনি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। সেখানেই তাঁকে এই কাজের প্রস্তাবও দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, অভিজিৎ তাঁকে হতাশ করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বেলা ১২ টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১। তার মধ্যে ৫৫ জন আক্রান্তের পরিবারের সদস্য। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ১৩ জনকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হয়েছে। এখনও ভর্তি থাকা ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো। একজন মাত্র সঙ্কটজনক, জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মানুষকে ভয় পেতে বারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে নাম না করে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এতদিন পর্যন্ত মাত্র ৩ হাজার হলুদ রঙের পিপিই দিয়েছে কেন্দ্র। এই দিয়ে করোনা মোকাবিলা সম্ভব? প্রশ্ন মমতার। মমতা ব্যানার্জি বলেন, করোনা মোকাবিলাই এখন অগ্রাধিকার। তাই প্রধানমন্ত্রী যখন চেয়েছেন সহায়তা করেছি। কিন্তু কেন্দ্রের থেকে সহায়তা পাইনি।
পাশাপাশি, ডেঙ্গি নিয়ে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, করোনার উপর এবার ডেঙ্গির প্রকোপ হলে মুশকিল বাড়বে। এই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানান মমতা।

Comments are closed.