দারিদ্রের মনস্তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করে সদ্য নোবেল জেতা অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যখন আনন্দে মেতেছে সারা দেশ, ঠিক তখনই এল দুঃসংবাদ। ১১৭ দেশকে নিয়ে করা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের স্থান হয়েছে ১০২ নম্বরে। ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপালও।
সোমবার এমআইটিতে নোবেল জয়ের খবর পাওয়ার পর অর্থনীতিবিদ এস্থার ডুফলো বলেছিলেন, বর্তমান বিশ্বে সুপার রিচ এবং সুপার পুওর, এই দু’ধরণের শ্রেণির সংখ্যা বাড়ছে। কদিন আগেই প্রকাশিত হুরান রিচ লিস্টেও দেখা গিয়েছিল, ভারতের প্রথম ২৫ জন ধনকুবেরের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ দেশের জিডিপির ১০ শতাংশ। এবার হাঙ্গার ইনডেক্সে দেখা গেল দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ক্ষুধাও।
বিশ্বের ১১৭টি দেশকে নিয়ে তৈরি করা এই তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৯ সালে এই তালিকায় ভারতের স্থান ১০২। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এমনকী ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে ভারতের এই অবস্থান সবথেকে নীচে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, এই তালিকায় ভারতের থেকে ৮ ধাপ এগিয়ে অর্থাৎ ৯৪ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। ভারতের এই অবস্থান অপর দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং নেপালের থেকেও খারাপ। হাঙ্গার ইনডেক্স কর্তৃপক্ষের তরফে বাংলাদেশ এবং নেপালের ধারাবাহিক উন্নতি ও খিদে দূরীকরণে প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে।
তথ্য বলছে, ২০১৪ সালে এই তালিকায় ৭৬ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ৫৫। ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই তালিকায় পতন হচ্ছে ভারতের।
মূলত শিশুদের জনসংখ্যা, তাদের অপুষ্টি, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওজন, বয়সের সাথে উচ্চতার সামঞ্জস্য, শিশু মৃত্যুর হার প্রভৃতি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি মাপকাঠিতে ভারতের অবস্থান সাহারা আফ্রিকার দেশগুলোর চেয়েও খারাপ। পরিসংখানে বলা হয়েছে দেশের ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৯.৬ শতাংশ ন্যূনতম পুষ্টি পায়। এর থেকে ভাল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
Comments are closed.