অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক মাসের। আগামী বছরের শুরুতেই নোভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশের বাজারে এসে যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে এক বৈঠকে হর্ষ বর্ধন জানান, কীভাবে করোনা টিকার বণ্টন হবে এবং কাদের প্রথমে দেওয়া হবে এই টিকা, তা নিয়ে ইতিমধ্যে ভাবনাচিন্তা করে রাখছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরা। করোনার ভ্যাকসিন বেরোলে তা সংগ্রহ থেকে শুরু করে রাজ্যে-রাজ্যে বণ্টনের ক্ষেত্রে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্র।
তিনি জানান, একাধিক সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন নতুন বছরের শুরুতেই হাতে এসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভারতের বিশাল জনসংখ্যায় কেবলমাত্র একটি করোনা টিকা বা একটি সংস্থার উপর তার উৎপাদনের ভার দিলে সবার কাছে সেই টিকা পৌঁছনো অসম্ভব। তাই দরকার একাধিক টিকা।
আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক দেশ করোনার ভ্যাকসিন বানাচ্ছে। এদিকে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে প্রথম দেশ হিসেবে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে ভারতেও। ভারত বায়োটেক, জাইডাস ক্যাডিলা সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ভারতে তৈরি করছে পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট।
আমেরিকার পর করোনা বিধ্বস্ত দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। এখন করোনা প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ।
Comments are closed.