করোনা আবহে বেহাল দশা কুটিরশিল্পের। আর এইসময় ভারতের প্রাচীন এই শিল্পকে বাঁচাতে এগিয়ে এল একদল পড়ুয়া। কলমকারি শিল্পীদের নিয়ে তাঁরা গড়ে তুলেছে একটি নেটওয়ার্ক। নাম, ‘কলমকারিকথা’। অতিমারীকালে কুটিরশিল্পীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ থেকে শুরু করে কাপড় বিক্রি করার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পড়ুয়ারা। কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র সহ দেশের বহু রাজ্যের পড়ুয়ারা এগিয়ে এসেছেন এই উদ্যোগে।
এর পিছনে আছেন মানব সুবোধ নামে এক ব্যক্তি। যিনি স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে প্রাচীন শিল্পকে বাঁচাতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। বহুজাতিক সংস্থার চাকরি ছেড়ে ৭ বছর আগে দেশের কুটিরশিল্পগুলিকে বাঁচানোর লড়াই শুরু করেছিলেন সুবোধ। তাঁর কথায়, দেশের ঐতিহ্যকে বাঁচাতে না পারলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনও মূল্যই নেই। তবে কেবল ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখলেই হবে না। তার সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে যুক্ত হতে হবে এই শিল্পের সঙ্গে। আর এই উদ্দেশ্য থেকেই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে কলমকারিকথার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
কলমকারির জন্ম বাংলায় নয়, সুদূর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ইরানে। ‘কলমকারি’ কথাটিই জন্ম নিয়েছে দুটো পারসিক শব্দের মেলবন্ধনে। কলম (বা ঘলম) ও কারি (অর্থাৎ কারিগরী)। যেই শিল্পে কলমের ব্যবহার হয়, তারই নাম কলমকারি। পৌরাণিক কাহিনি থেকে শুরু করে লোককথাকে কাপড়ের মধ্যে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার নামই কলমকারী। এই প্রক্রিয়ায় কোথাও যন্ত্র বা কৃত্রিম রঙের ব্যবহার করা হয় না। পাথর ঘষে এবং প্রাকৃতিক রং থেকে ছাপা হয় কলমকারী কাপড়। কিন্তু করোনা অতিমারীতে কলমকারি শিল্পের বিপুল ক্ষতি হয়েছে।
ঠিক এই সময়েই দেশের কলমকারি শিল্পকে বাঁচাতে এগিয়ে এল একদল স্কুল পড়ুয়া।
Comments are closed.