রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে চলবে ভারী বৃষ্টি, শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গেও। আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস, সপ্তাহান্তে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া শনি ও রবিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়ার কিছু অংশে। কলকাতাতেও চলবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। রবিবার শহরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম রাজস্থান থেকে বিহার পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় হয়েছে। এর প্রভাবেই দক্ষিণা বাতাসে ভর করে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। যার ফলে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গ-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং-সহ পাঁচ জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, অতি ভারী বৃষ্টি হবে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারের কিছু এলাকায়। সেখানে ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হবে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও।
উত্তরবঙ্গে এমনিতেই অন্যান্য বছরের তুলনায় এই সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক গড়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত টানা বর্ষণে অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দুশ্চিন্তা বাড়ছে বিহার ও অসমে।
এদিকে শুক্রবার অসমের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সরকারি হিসেবে ১৬ টি জেলায় ২.৫৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ এবং তারপর একটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই বর্ষা সময়ের আগেই ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।
Comments are closed.