সিপিএম থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়ক কি ব্যাঙ্ক তহবিলের অনিয়মে যুক্ত ছিলেন? তাই কি আত্মহত্যা? তদন্তে নয়া তথ্য নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে ডেরেক
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সামনে এল এক চাঞল্যকর তথ্য। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে, মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় কি ব্যাঙ্কের টাকা তছরুপের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন? তাই কি আত্মহত্যা?
জানা যাচ্ছে, মৃত বিধায়ক বড়বার বালিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড (মিনি ব্যাংক) এর সেক্রেটারি নির্বাচিত হন ২০১২ সালে। এই ব্যাঙ্কের কার্যালয় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার মোহিনীগঞ্জ হাটে। সম্প্রতি কো-অপারেটিভ সোসাইটির সহকারী রেজিস্ট্রার (এআরসিএস) এবং সমস্ত অ্যাকাউন্ট যাচাই করে দেখেন, মোট ৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে জমা ছিল। এর মধ্যে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ঋণের অনুমোদন দেওয়া হলেও বাকি ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার হিসেব পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে প্রাক্তন সিপিএম এবং দলত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়ক তথা ওই মিনি ব্যাঙ্কের সেক্রেটারি দেবন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে এই বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। বিজেপি যে রাজনৈতিক হত্যার দাবি করছে তা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, এই মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের টাকা গরমিলের কথাও জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিংসা ছড়াতে চাইছে বিজেপি। বিধায়কের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ।
ডেরেক ও’ব্রায়েন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দেওয়া সম্পূর্ণ তথ্য তাঁর হাতে তুলে দেন। প্রায় ২৫ মিনিট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, হেমেন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছেন এবং তাঁর পকেটে পাওয়া সুইসাইড নোট থেকে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেখানে দু’জন ব্যক্তির নামের ও উল্লেখ রয়েছে।
এবার রাষ্ট্রপতির কাছে পাল্টা বিজেপি-র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ জানাল তৃণমূল। একইসঙ্গে ময়নাতদন্ত সাজানো দাবি করে রাজ্য বিজেপি আদতে আইন ব্যবস্থার প্রতিই অসৌজন্য দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
Comments are closed.