সে তিনি যেমনই অভিনেতা হন না কেন, সবসময় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে এসেছেন তিনি। বিনোদন জগৎ বরাবরই তাকে নিয়ে সরস চর্চা করে আসছে। যতই হাসি ঠাট্টা হোক তাকে নিয়ে ভক্ত সংখ্যাও নেহাত কম নয় ওনার। বুঝেই গেছেন নিশ্চয় কার কথা হচ্ছে! হিরো আলম। ওপার বাংলা এর একজন অভিনেতা তিনি। তবে শুধু মাত্র অভিনেতা বললে ভুল বলা হবে, অন্য আরো অনেক দিকে আগ্রহ আছে তার। যেমন এবার অন্য শিল্পে আগ্রহী হয়েছেন হিরো আলম। শুরু করেছেন সঙ্গীত চর্চা।
সম্প্রতি তিনি তাঁর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি গান নিজের গলায় গিয়ে প্রকাশ করেছেন। গানের নাম “বাবু খাইসো ” ! গানটি জনসমক্ষে আসতে চরম ট্রোলিং এর শিকার হয়েছে । যথারীতি ফেসবুক থেকে ইউটিউব সব জায়গায় হচ্ছে গানটি সহ হিরো আলম ফের একবার হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন নেটিজেনদের কাছে।
গত ২৬ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া ৩মিনিট ১২ সেকেন্ডের এই গান ইতিমধ্যে ৩৮ লক্ষের উপর মানুষ শুনে ফেলেছেন। বিভিন্ন হাসির কমেন্ট করছেন ভক্তরা কেউ লিখেছেন এ গানটি শোনার পর ৫দিন পাগল ছিলাম । আবার কেউ বলেছেন এই গানটি ডাউনলোড করে নিলাম, রাত্রে আমার ঘুম হয় না । এই গানটি চালিয়ে রাখবো আর অজ্ঞান হয়ে থাকবো। এরকম নানা ধরনের ট্রোলিং এর কমেন্ট আসতে শুরু করেছে গানটিতে। বলাবাহুল্য লাইকের থেকে ডিজলাইক সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশি।
অন্যদিকে হিরো আলম জানিয়েছেন,” আমি গায়ক হতে পারব না, সেটা আমি জানি। আমি চেষ্টা করে দেখেছি গানটা করা যায় কিনা। আমি যেমন আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলি তেমনি আঞ্চলিক ভাষায় গানও করেছি। অনেকেই গান করে। চেষ্টা করে। সবাই শিল্পী হতে পারে না। আমি যেমন অভিনয় শিখি নি, তেমন গানও শিখি নি কখনো।”
প্রসঙ্গত নিজের কাজের জন্য এর আগেও বহুবার ট্রোল্ড হয়েছেন এই বাংলাদেশী অভিনেতা । যদিও বগুড়ার বাসিন্দা ৩৫ বছরের হিরো আলম তাতে বিশেষ কিছু পাত্তা দেন না। তিনি এর আগেও এসব ট্রোলিং এর জবাব দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন মানুষকে বিনোদন দেওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য তার, তাতে কে কি বিরূপ মন্তব্য করল বা কে কি বলল তাতে তার বিশেষ কিছু যায় আসে না।
Comments are closed.