আনিসের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে রাজ্যের গঠিত সিটের ওপরেই আস্থা রাখল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশপাশি আরও একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, জেলা জজের পর্যবেক্ষণ-এ মৃত ছাত্র নেতার দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। মামলাকারী এবং সিটকে দ্রুত সেই রিপোর্ট দিতে হবে। এবং আনিস খানের যে ফোনটি তাঁর পরিবারের কাছে রয়েছে, তা তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিতে হবে। মামলাকারীদের উপস্থিতিতে আনিসের ফোন সিল করবে সিট। তারপর তা পাঠাতে হবে হায়দ্রাবাদে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য।
সেই সঙ্গে এদিন আদলতের আরও পর্যবেক্ষণ, ফোনের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখবে সিএফএসএল। এবং ফোনে উদ্ধার হওয়া তথ্য সিট এবং মামলাকারীদের হাতে তুলে দিতে হবে।
উল্লেখ, প্রথম থেকেই আনিসের পরিবার বলে এসেছেন সিটের ওপর তাঁদের আস্থা নেই। সেই কারণে আনিসের ফোন দেওয়া বা দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রস্তাব দুটোই নাকচ করে পরিবার। আনিসের বাবা জানান, আদালতের নির্দেশ পেলে তবেই তাঁরা সিট সদস্যদের হাতে ফোন তুলে দেবেন।
এদিকে এদিন আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমতা থানায় বিক্ষোভ দেখান আনিসের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। এদিকে ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্তে আমতা থানার একাধিক পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Comments are closed.