হুক্কা বার বন্ধ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বন্ধ হচ্ছে না কলকাতার কোনও হুক্কা বার। বুধবার বিচারপতি প্রকাশ শ্রী বাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানিয়ে দেন, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে পেপারবুক জমা দিতে হবে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে ফের মামলার শুনানির জন্য।
বুধবার হুক্কা বার মালিক পক্ষের আইনজীবী মেঘলা দাস ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সময় জানান, এমন কোনও আইন নেই যেখানে বলা হয় হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে। দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে। এরআগে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, কলকাতায় বন্ধ করা যাবে না কোনও হুক্কা বার। এরপর মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় কলকাতা পুরসভা। আর সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা পুরসুভা শহরের সব হুক্কা বার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই জানিয়েছিলেন, শহরের সব হুক্কা বার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তও হুক্কা বার বন্ধের জন্য পুলিশ কমিশনারেটকে চিঠি দিয়েছিলেন। পুরসভা ও কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন হুক্কা বারের কয়েকজন মালিক। তাঁদের দাবি ছিল, পুরসভার আইনে হুক্কা বার বন্ধ করার বিষয়ে বলা নেই। ২৪ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট ওই মামলায় জানিয়ে দেয়, কলকাতা ও বিধাননগর এলাকায় কোনও হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, হুক্কা বার বন্ধ করতে হলে রাজ্য বা পুরসভাকে নতুন আইন প্রণয়ন করে তা বন্ধ করতে হবে।
২০০৩ সালে সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন মেনে হুক্কা বারগুলি চালানো হয়। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও কয়েকটি রায় রয়েছে। হুক্কা বার মালিকরা জানান, হুক্কায় ভেষজ তামাক ব্যবহার করা হচ্ছে।
Comments are closed.