‘আমি চোখ খুলে ভাবছি আমি বেঁচে আছি তো’? শরীরের সেই যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন ঐন্দ্রিলা, অভিনেত্রীর কষ্টে কেঁদে ভাসালেন রচনা ব্যানার্জি, রইলো ভিডিও
অবশেষে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে ক্যামেরার সামনে কামব্যাক করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। মারণরোগ ক্যান্সারের সঙ্গে তিনি দুইদুইবার লড়াই করেছেন। অবশেষে দীর্ঘ কয়েকবছর পর আবারো ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এসেছিলেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে নিজের জীবনের গল্প বলতে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সেইসব দিনের গল্প ভাগ করে নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী। চলে জল এসেছিল রচনার ও।
‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করার সময়ই অভিনেত্রীর শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধে। নিজের এই খারাপ সময়ে সবসমই পাশে পেয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচীকে। সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়াতে সবসময় আপডেট দিতেন। কিন্তু এবারে নিজের মুখের নিজের সেই কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরলেন ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলা জানান ‘দ্বিতীয়বার যখন মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধে তখন দারুন যন্ত্রণা হয়েছিল শরীরে, যেহেতু আমার কাছে এই যন্ত্রণার অনেক আগে থেকেই পরিচিত তাই আমি জানি কতটা কষ্ট হয়। তাই আরও একবার ক্যান্সার হওয়ার পর সেটা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে অনেক কঠিন ছিল। অপরেশনের পর বেচেঁ থাকার সম্ভাবনা ছিল না, ডক্টর জানিয়ে দিয়েছেছিলেন যে আমার জীবনের সমস্ত সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হবে। আমি তখনই কিছু না ভেবে অপারেশনের জন্য রাজি হয়ে যাই।’
অভিনেত্রী আরও জানান ‘অপারেশনের পর চোখ খোলার পর একটা আলো এসে চোখে ধাক্কা মারে তখন মনে হয়েছিল আমি বেচেঁ আছি তো?’ তার সুস্থ হয়ে ওঠার পিছনে যে সব্যসাচির কতটা অবদান রয়েছে তা নিয়েও বলতে শোনা যায় ঐন্দ্রিলা কে। ঐন্দ্রিলা জানান ‘দিল্লি তে যখন আমার কেমো চলছে তখন হঠাৎ করে চোখ খুলে দেখি আমার সামনে সব্যসাচী বসে আছে, ওকে দেখে তখন যেনো একটা আলাদা শান্তি পেয়েছিলাম, পুরো ট্রিটমেন্ট জুড়ে আমি অসম্ভব শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেলেও একটুও মানসিক কষ্ট অনুভব করিনি।”
একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথম ঐন্দ্রিলার বোন ম্যারোতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসার পর তিনি সেরেও উঠেছিলেন। দীর্ঘ ৬ বছর দারুন সুস্থ ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই ২০২১ সালে ফের আরো একবার মারণ রোগ থাবা বসায়। আবার ১ বছর ধরে কঠিন লড়াইয়ের পর আজ ঐন্দ্রিলা দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে দাড়িয়ে।
Comments are closed.